কয়েকটি আসনে জট থাকলেও রাজ্যে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সাত-আটটি আসন বাদে রফা সূত্রে পৌছেছে আলিমুদ্দিন। সমঝোতা চূড়ান্ত করতে প্রদেশ নেতাদের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। রাতে আলোচনা বাম-কংগ্রেস নেতাদের। সম্ভবত কালই দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বামেরা।
বোঝাপড়া চূড়ান্তের পথে
আসন জট প্রায় কাটিয়েই ফেললেন সিপিএম নেতারা। কোন পথে শরিকদের খুশি রেখে কংগ্রেসের সঙ্গে রফা হবে, সেই অঙ্কের সমাধান প্রায় করেই ফেললেন তাঁরা। বুধবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে সাত-আটটি বাদ দিয়ে বাকি আসনে কে কোথায় দাঁড়াবেন তা নিশ্চিত করা গিয়েছে।
নরম হচ্ছেন শরিকরা
কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আগের থেকে অনেকটাই নরম হয়েছে সিপিএমের জোট শরিকরা।
সিপিআই ৩টি, আরএসপি ৪টি, ফরোয়ার্ড ব্লক ৬টি আসন কংগ্রেস কে ছাড়তে রাজি হয়েছে। তবে, কংগ্রেসের দাবি রাখতে ফ্রন্টের বড়শরিক সিপিএমকে ৫০টির মতো আসন ছাড়তে হচ্ছে।
কাকদ্বীপ আসনটি ছাড়া হচ্ছে পিডিএসকে।
মুর্শিদাবাদে আরএসপির চারটি আসন নিয়ে এখনও কাটেনি সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে আরএসপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সিপিএম নেতৃত্ব। কোনও আসনেই তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ হোক তা চাইছেন না আলিমুদ্দিনের নেতারা।
তত্পরতা নয়াদিল্লিতেও
জোট নিয়ে রফা কোন পথে। রাহুল গন্ধীকে তার সর্বশেষ রিপোর্ট দিলেন অধীর চৌধুরী। রাজ্যে আসন ভাগাভাগি যে পথে এগোচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট কংগ্রেস সহসভাপতি। এবার পুরো বিষয়টি দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন তিনি। জোট চূড়ান্ত যে এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা স্পষ্ট অধীর চৌধুরীর কথাতেই।
তবে শেষ পর্যন্ত পুরো জট কাটবে তো। সেই সমাধান সূত্রে পৌছনরই মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে আলিমুদ্দিন আর বিধান ভবন।