মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেশ মসৃণভাবেই চলছিল বাম-কংগ্রেসের আসন রফার আলোচনা। তাল কাটল আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের অন্তর্ভূক্তিতে। পরিস্থিতি এমন যে আইএসএফের 'আবদার' সামলাতে নাজেহাল দশা বাম-কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার আসনের তালিকা দিয়ে কংগ্রেসকে 'আল্টিমেটাম' দিয়েছিল আইএসএফ। আজ, শুক্রবার প্রদেশ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আব্বাসের দাবি মানা সম্ভব নয়। মুর্শিদাবাদ-মালদহে একটাও আসন ছাড়া যাবে না। 


মালদহ, মুর্শিদাবাদের এখনও দাপট রয়েছে কংগ্রেসের (Congress)। আর ওই জেলাতেই একাধিক আসন দাবি করে বসেছে আইএসএফ (ISF)! তার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের (Congress) জেতা আসনগুলিও। সুজাপুর পশ্চিম প্রয়াত গনি খানের কেন্দ্র। তার সঙ্গে আবেগের যোগ প্রদেশ নেতৃত্বের। সূত্রের খবর, ওই আসনটিও রয়েছে আইএসএফের (ISF) তালিকায়। মোহিত সেনগুপ্ত, মিল্টন রশিদদের জেতা আসনও চাই তাদের। এর মধ্যে সিপিএম খানিকটা নমনীয় হয়ে আইএসএফ-কে জলঙ্গির জেতা আসন ছেড়েছে। কিন্তু, তাদের পক্ষে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়া সম্ভব নয় বলে আলিমুদ্দিনকে জানিয়ে দিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্ব।


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আইএসএফের (ISF) চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকিকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি আবদুল মান্নান। আসন রফা নিয়ে একটা বৈঠকেও আসেননি আব্বাস সিদ্দিকি। কংগ্রেসের অন্দরের প্রশ্ন উঠছে, বিমান বসুও বৈঠকে থাকছেন। তখন আব্বাস কত বড় নেতা যে থাকতে পারবেন না? তার উপরে একটা নতুন দল কীভাবে এত দাবিদাওয়া করতে পারে? সবমিলিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রদেশ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের (Congress) সাফ কথা, মালদহ, মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়া সম্ভব নয়। অন্য জায়গায় ৮টি আসন দিতে রাজি তারা। শনিবার আর এক দফা বৈঠকে বসতে চলেছেন বিমান বসু ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। এ দিকে, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ নিয়ে অনড় আইএসএফ-ও। এটাই ভাবিয়ে তুলেছে আলিমুদ্দিনকে।         


সূত্রের খবর, ৫০টি আসনের দাবি করেছেন আব্বাস সিদ্দিকিরা (Abbas Siddique)। তা ৩০-৩৫টির মধ্যে বেঁধে ফেলতে সচেষ্ট আলিমুদ্দিন। আইএসএফের 'আবদার' মেটাতে মোট ২৭টি আসন ছাড়ছে বামেরা। নতুন বন্ধুকে সিপিএম একাই উপহার দিচ্ছে ২০টি আসন। বাকি ৭টির মধ্যে রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের ৪টি, আরএসপি-র ২টি ও সিপিআই ১টি আসন। সিপিএমের এহেন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট শরিকরাও। তারাও মনে করছে,অতিরিক্ত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে আব্বাসকে। ফলে, শরিকি তো বটেই, জোটসঙ্গীর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সিপিএম নেতৃত্বকে।               


আরও পড়ুন- Exclusive: ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের দিন শেষ, BJP-র ভোট অক্ষুণ্ণ থাকবে: Shah