মৌমিতা চক্রবর্তী ও জ্যোতির্ময় কর্মকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জট কাটাতে আসরে নামলেন শীর্ষ নেতা। সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে বাংলায় নতুন গতি পেল বাম-কংগ্রেস জোট-সম্ভাবনা। বাংলায় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ জানিয়ে দিলেন, রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। আর তাতেই কেটে গিয়েছে যাবতীয় জট। কারণ, ওই দুটি আসন নিয়েই দুই শিবিরে চলছিল টানাপোড়েন।   
 
শুক্রবার কংগ্রেসের আবদার উড়িয়ে রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদে এক তরফা প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় আলিমুদ্দিন। তবে কংগ্রেসের জেতা জেতা চারটি ছেড়ে জোটের পথ খোলা রাখে সিপিএম। কিন্তু ওই দুটি আসন তাদের দেওয়ার দাবিতে প্রথম থেকে অনড় ছিল কংগ্রেস। বিমান বসুর ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ সোমেন মিত্র জানিয়ে দেন, একটাও আসন পাবে না সিপিএম। এমন প্রেক্ষাপটে জোট নিয়ে তৈরি দোলাচল। জোট সংকট কাটাতে আসরে নামেন সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধী। রাহুলের নির্দেশে গৌরব গগৈ জানিয়ে দেন, কেউ কারও জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না, এই জায়গা থেকেই আলোচনা শুরু হবে। বাকি আসনের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষকেই  নমনীয় হতে হবে। 


 


মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস সিপিএম ও কংগ্রেস কেউই কারও জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না। দলের অন্দরের প্রক্রিয়া শেষ হলেই হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক হলে ১৭টি আসনে লড়বে কংগ্রেস বাম ও সহযোগী দলগুলি লড়বে ২৫টি আসনে। প্রাথমিক রফাসূত্র মিলেছে। বাকি ৩৬টি আসন কী ভাবে ভাগ-বাটোয়ারা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শুক্রবার রাতেই রাহুলের সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রের। এখন জেলাভিত্তিক নতুন অঙ্ক চায় কংগ্রেস পুরুলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি আসন চাইবে প্রদেশ কংগ্রেস। তাদের দাবি, সব জেলায় প্রার্থী না দিলে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। 


আরও পড়ুন- সব্যসাচীর পর অধীরের বাড়িতে নৈশভোজে মুকুল রায়?


সূত্রের খবর, মালদহ থেকে ফেরার পর বিমান বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সোমেন মিত্র। ওই বৈঠকেই সব চূ়ড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে একটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে, আসন রফার যে সূত্র কানে আসছে, তাতে লাভবান হচ্ছে আখেরে কংগ্রেসই। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে বর্তমানে কংগ্রেসের যা দশা, তাতে ১৭টি পাওয়ার জায়গায় নেই তারা। তার চেয়ে সিপিএমের শক্তি অনেকটাই বেশি।