মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে আদৌ কি কংগ্রেস-সিপিএম জোট সম্ভব? কংগ্রেসের আবদারের কাছে নতিস্বীকার করে জোট করবে আলিমুদ্দিন? রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সৌমেন মিত্রের বৈঠকের পর প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন। 
২০১৪ সালে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনে জিতেছিল সিপিএম। বামেদের সঙ্গে জোট সমঝোতায় এবার ওই দুটি আসন দাবি করছে কংগ্রেস। প্রদেশ নেতৃত্বের যুক্তি, ওই দুটি আসনে তাদের জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বুধবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকেও সে কথাই বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। 


রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে সোমেন মিত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসন কোনওভাবে ছাড়া যাবে না। ওই দুটি আসনেই কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বেশি। সিপিএমের সংগঠন ওখানে আগের মতো আর নেই। দরকার হলে ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেবে কংগ্রেস।  


সূত্রের খবর, কংগ্রেসের এমন আবদার মানতে নারাজ সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মনে করেন, জেতা আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিলে ধাক্কা খাবে কর্মীদের আত্মবিশ্বাস।       



কেন গোল বেঁধেছে? 


২০১৪ সালে রায়গঞ্জে জিতেছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। স্বাভাবিকভাবেই তিনিই এবার ওই আসনের প্রার্থী হবেন। কিন্তু গতবারের পরাজিত প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি রায়গঞ্জ ছাড়তে নারাজ। কংগ্রেসের যুক্তি, রায়গঞ্জে সিপিএম হারবে। বরং প্রিয়রঞ্জন আবেগে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে মুর্শিদাবাদ থেকে জিতেছিলেন সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আবু হেনাকে প্রার্থী করতে চাইছে কংগ্রেস।


আরও পড়ুন- কোন আসনে কে লড়বেন? সামনে এল CPIM-এর সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা


কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জন্য শরিকদের সঙ্গেও মনোমালিন্যে জড়িয়েছে আলিমুদ্দিন। সেই কংগ্রেসেই জেদ ধরায় দ্যোটানায় পড়েছেন নেতারা। জেতা দুটি আসন ছেড়ে জোটে গেলে তা দলের জন্য মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন হবে না বলে মানছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু এককভাবে রাজ্যে কতটা ভাল ফল করা যাবে, সেটাও চিন্তার কারণ। ভোটের অনেক আগেই মহাজোটের হাড়কঙ্কাল বেরিয়ে আসছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।