ওয়েব ডেস্ক: বাম এবং কংগ্রেসের কমপক্ষে দশটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের সম্ভাবনা থেকেই গেল। আরএসপির অনড় মনোভাব, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের আসন ছাড়তে না চাওয়া, সব মিলিয়ে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল জোট। সামান্য কিছু টানাপোড়েনের জেরে ২৯৪টি আসনেই জোট বেঁধে লড়তে পারছে না বাম এবং কংগ্রেস। দশেরও বেশি আসনে সম্ভবত বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছেই। বুধবার এই নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠকে বসে দু-পক্ষই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বামফ্রন্টের বৈঠকে আরএসপি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আর একটি আসনও তারা ছাড়বে না। এমনকি আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে কেন সিপিএম কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়েও বৈঠকে নালিশ জানান তাঁরা। আরএসপির মনোভাব বুঝে, তাঁদের আর আসন ছাড়ার অনুরোধ করেননি কেউই। কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন  বিমান বসু। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বসিরহাটে সদ্য তৃণমূল থেকে আসা রফিকুলকে কর্মীদের ক্ষোভের জেরে সিপিএমের তকমা ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হল। এদিনের বৈঠক শেষে যৌথ প্রচারের সম্ভাবনাও খারিজ করলেন না তিনি।


AICC পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে নাম চূড়ান্ত করতে বসেন সোমেন, অধীর, দীপারা। প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠকের শেষে একান্নটি আসনে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে AICC-র কাছে। যোগ করলে দাঁড়াল, মোট ৯৪টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কংগ্রেস। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য


কে কোথায় দাঁড়াতে পারেন--


সোমেন মিত্র - চৌরঙ্গী থেকে
আব্দুল মান্নান- চাঁপদানি
বালিগঞ্জে কৃষ্ণা- দেবনাথ
হাওড়ার শ্যামপুরে- অমিতাভ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুরে- শুভঙ্কর সরকার


একইসঙ্গে আরও দু একটা আসনে প্রার্থী দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়ে রাখলেন অধীর।


ভবানীপুর কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। কংগ্রেসের একটা অংশ আবার চাইছে, প্রার্থী হোন দীপা।  এনিয়ে অধীর কথা বলেছেন সোনিয়ার সঙ্গে। অধীরের কথায় এ ব্যাপারে  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি।