কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ যেন করোনার `হটস্পট`! আক্রান্ত একের পর এক চিকিৎসক-রোগী
অভিযোগ, চিকিৎসকদের সেই দাবি মানা হয়নি। আর তারই ফল মিলতে শুরু করেছে হাতেনাতে। পর পর চিকিত্সকরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিপর্যয় রাজ্যের করোনা স্পেশালিটি হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ চিকিৎসক। আক্রান্ত ৩ রোগীও। অভিযোগ, হাসপাতালই হয়ে উঠেছে করোনার "হটস্পট"। হাসপাতালে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। পর পর সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকের শরীরে মিলেছে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওয়ার্ডেও। পর পর তা ধরা পড়েছে রোগীর শরীরে। সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের মুখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইডেন বিল্ডিং-এর প্রসূতি বিভাগ, এমসিএইচ বিল্ডিং।
প্রসঙ্গত, ১০ দিন আগেই ইডেন বিল্ডিং বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। সেইসময় সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এক প্রসূতির সংক্রমণের খবর মিলেছিল। তারপর এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় মেডিসিন বিভাগের এক রোগীকে করোনা উপসর্গ সহ এসএসবি-তে স্থানান্তরিত করার পর তাঁর মৃত্যু হয়। রিপোর্টে জানা যায়, তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। তারপর থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভে সামিল হন নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও জুনিয়র চিকিৎসকেরা। যথাযথ নিরাপত্তা, PPE, মাস্ক ও সোয়াব পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হন চিকিৎসকরা। কোয়ারেন্টাইনের দাবি তোলেন।
কিন্তু অভিযোগ, চিকিৎসকদের সেই দাবি মানা হয়নি। আর তারই ফল মিলতে শুরু করেছে হাতেনাতে। পর পর চিকিত্সকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, ইডেন বিল্ডিং-এর প্রসূতি বিভাগে সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে পর পর দুদিন ৫ জন চিকিৎসকের শরীরে মিলেছে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এখানেই শেষ নয় মেডিসিন ওয়ার্ড ও ইডেন বিল্ডিং মিলিয়ে মোট ৩ জন রোগীর শরীরেও মিলেছে ভাইরাসের সংক্রমণ।
প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ? এ প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ সোমবার সরকারি ও ঠিকা কর্মী মিলিয়ে মোট ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে আজ ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কোন যুক্তিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল? মোদী-শাহের কাছে জবাব তলব মুখ্যমন্ত্রীর