নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে যখন হাসপাতালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঠিক তখনই 'নাটক' এম আর বাঙুর কোভিড হাসপাতালে। মুখে মাস্ক পরে এক করোনা 'রোগী' হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হাঁটা লাগিয়েছেন! আর তাঁকে নিয়েই শুরু হয়ে গেল তোলপাড়। ধর ধর চিৎকার তখন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল চত্বরে। এদিকে ওই 'রোগী' তখন হাসপাতালের বাইরের ফুটপাত ধরে টালিগঞ্জ মেট্রোর দিকে মুখ করে হাঁটা লাগিয়েছেন। এই ঘটনায় তুমুল বিতর্ক বাধল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, ওই 'রোগী' নাকি হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন! ঘটনাচক্রে ওই 'রোগী' যখন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফুটপাথ ধরে হাঁটা লাগিয়েছেন, ঠিক তখনই হাসপাতালের ভিতরে উপস্থিত কেন্দ্রীয় দল। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর সোওয়া ১টা। কী ঘটে তখন? সাদা কালো ছোপ ছোপ টি-শার্টের সঙ্গে কালো রঙের ট্রাক স্যুট পরা, ৬০-৬৫ বছরের এক ব্যক্তি মুখে মাস্ক নিয়ে হাসপাতাল ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই কোনক্রমে দেওয়াল ধরে ধরে তাড়াতাড়ি হেঁটে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাইরের ফুটপাথে। 


বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতালের ভিতর থেকে ছুটে আসেন বেশ কয়েকজন PPE পরিহিত কর্মী। তাঁরাই ওই প্রৌঢ়ের পথ আটকান। হাসপাতালে ভিতরে ঢুকতে বলা হয় তাঁকে। এরপর ওই প্রৌঢ় ফের হাসপাতালের ভিতর প্রবেশ করলে, তাঁর সামনে-পিছনে এবং তিনি যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসেন সেখানে হাসপাতালের কর্মীরা ওষুধ মেশানো জল স্প্রে করতে থাকেন। প্রশ্ন ওঠে, ওই প্রৌঢ় কি নোভেল করোনাভাইরাস পজেটিভ? তিনি কি ওয়ার্ডের ভিতর ভর্তি ছিলেন? তিনি কি পালাচ্ছিলেন? যদি পালাচ্ছিলেন, তবে কেন?


এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের তরফে কিংবা সরকারের তরফে এর কোনও উত্তর নেই। তবে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত কেউ বলছেন , ওই প্রৌঢ় করোনা 'পজেটিভ'। তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি। আবার কেউ কেউ বলছেন, তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ঠিকই, তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি। আবার কারোও দাবি, ওই প্রৌঢ়কে অ্যাম্বুল্যান্স নামিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। তাই তিনি 'পালাচ্ছিলেন'! সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় দল যখন কোভিড  হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করছেন, ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।


আরও পড়ুন, আরও ৭ জনের সংক্রমণের আশঙ্কা, করোনা হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল নিজেই যেন 'রেড জোন'!