নিজস্ব প্রতিবেদন : ভয়! আতঙ্ক! নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হবে শুনেই সুনসান বিস্তীর্ণ অঞ্চল, দীর্ঘ রাস্তা। নদিয়ার তেহট্টর নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তদের বাড়ির লোকজনকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে যাওয়া হবে শুনেই তেহট্টো থেকে কৃষ্ণনগর এলাকার রাস্তা, বাজার সুনসান হয়ে গেল সাতসকালেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকাল ৭টা থেকে একে একে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স এসে জড়ো হয় তেহট্ট সাব-ডিভিশনাল হাসপাতালে। সেখানেই আইসোলেশনে রেখে দেওয়া হয়েছিল তেহট্টোর এক পরিবারের ২০ জনকে। যার মধ্যে ৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে শুক্রবার নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সিদ্ধান্ত হয় যে প্রত্যেককে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। 


সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে তাঁদের। শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারপর তাঁদেরকে রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর সেকেন্ড ক্যাম্পাস, যা এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও রাজ্যের দ্বিতীয় করোনা হাসপাতাল, সেখানে ভর্তি করে নজরে রাখা হবে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পরপর ৪টি  অ্যাম্বুল্যান্স স্টার্ট দেয় কলকাতার উদ্দেশে। 


প্রত্যেকটি অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধক বিশেষ পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী। আক্রান্তদের পরিবারের প্রত্যেককে পরানো হয়েছে সেই বিশেষ পোশাক। একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছে ২ জন করে সদস্যকে। মোট ১০টি অ্যাম্বুল্যান্সে ২০ জন সদস্যকে কলকাতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ভবনের।


স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষার পর যাবতীয় তথ্য সংকলন করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে। তেহট্টর এই পরিবারকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক খুবই উদ্বিগ্ন। শুক্রবার রাতেই সে কথা তারা স্বাস্থ্য ভবনকে জানায়। তাদের উদ্বেগের প্রধান কারণ, একই পরিবারের ৩ শিশুর এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেশের মধ্যে এই প্রথম।


আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ওষুধ খাওয়ার জল নেই! গুরুতর অভিযোগ বেলেঘাটা আইডিতে