নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে ৪ ভাগে সাধারণ মানুষকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন। দেশের মধ্যে এভাবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৪টি স্তর তৈরি করার বিষয়টি কিন্তু এ রাজ্যই প্রথম করে দেখাল। তৈরি হল স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর বা এসওপি ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রশাসন অজয় চক্রবর্তী ডিএইচএস, বলেন আমরা সাধারণ মানুষকে ৪ ভাগে ভাগ করে দেখতে চাইছি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, আশাকর্মী পর্যন্ত যারা গ্রামের প্রত্যন্ত জায়গায় কাজ করেন তাদেরকে প্রশিক্ষিত করার কাজ আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে। নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।


কি রয়েছে নির্দেশিকায়?


ক্যাটেগরি এ


যাদের নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে এবং শরীরে জ্বর রয়েছে সর্দি-কাশির অর্থাৎ কোনো লক্ষণ রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এ ক্যাটাগরি হিসেবে। এদেরকে high-risk হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে । তাদের জন্য সরকারের তরফ থেকে একেবারে আইসোলেশন-এ রেখে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।


আরও পড়ুন-রবীন্দ্র সরোবর মেট্রোর লাইনে আত্মহত্যা, ব্যাহত পরিষেবা 


ক্যাটেগরি বি


যাদের বিদেশযাত্রা রেকর্ড নেই কিন্তু জ্বর সর্দি কাশি অর্থাৎ নভেল করোনা ভাইরাসের মতো কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করা। এক্ষেত্রে মূলত মডারেট রিস্ক বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ৬০ বছরের বেশি বয়স যদি হয় , তার যদি হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস কিংবা শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে তাদেরকে এই গ্রুপে রাখা হচ্ছে। এদের ক্ষেত্রে কোয়ারান্টাইন  ব্যবস্থার পাশাপাশি পিরবারকেও আইসোলেশন রাখা হবে। ১৪ দিন নজর রাখা হবে এদের ওপরে। সবই করবে রাজ্য সরকার।


ক্যাটেগরি সি


এক্ষেত্রে যে সমস্ত মানুষের বিদেশযাত্রার রেকর্ড রয়েছে  কিন্তু তার জ্বর বা অন্য কোনো লক্ষণ কিছুই চোখে পড়ছে না তাদেরকে ১৪ দিন ধরে নজর রেখে দেওয়া হবে আইসোলেশনে রেখে।


আরও পড়ুন-কাউন্টডাউন শুরু কমলনাথের, সোমবার মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ রাজ্যপালের


ক্যাটেগরি  ডি


যাদের বিদেশযাত্রা কোনো রেকর্ড নেই  এবং কোনো জ্বর সর্দি-কাশি বা লক্ষণ ও নেই।  তাদেরকে এই ক্যাটেগরিতে রেখে দেওয়া হয়েছে।


নজরদারি চালাতে এই চারটি ভাগে ভাগ করে সাধারণ মানুষের উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। সেই নির্দেশ  রাতের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেকটি জেলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অর্থাৎ সিএমএইচ, প্রত্যেকটি হাসপাতালের সুপার এবং প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল এবং সুপারদের কাছে।