নিজস্ব প্রতিবেদন: গাঁটের ব্যথা, ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।  এই গাঁটের ব্যথার কাছেই হার মানল 'মানুষখেকো' করোনা ভাইরাস।  কী অবাক হচ্ছেন! বাস্তাবে তেমনটাই ঘটেছে। কেবল গাঁটের ব্যথা ছিল বলেই এযাত্রায় করোনাকে হার মানিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন নরেন্দ্রপুরের ছিয়াত্তর বছরের এক বৃদ্ধা।  আর তাঁকেই করোনা আক্রান্তদের সামনে মডেল হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন চিকিত্সকরা।
তীব্র শ্বাসকষ্ট দীর্ঘদিন ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধা। যা চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় সিওপিডি । প্রতিদিন দুবার করে নিতে হয় ইনহেলার । এর বাইরে তার ছিল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। সম্প্রতি তিনি করোনা আক্রান্ত হন। মূলত এগরার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েই আক্রান্ত হন তিনি। পরিবারে নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার। ছেলে বলেন, "এতটা বয়স। তারপর শ্বাসকষ্ট।  তাই আশঙ্কা ছিলই , যে বড়সড় দুর্ঘটনার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমরা।  কিন্তু চিকিৎসকদের মত মায়ের গাঁটের ব্যথাই এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিল।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘এক বেলা খেতেই, একটু বেরিয়েছি’, স্যানেটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে চা ফেরি বৃদ্ধের
কলকাতা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিত্সা হয় তাঁর। মাইক্রোবায়োলজিস্ট সুমন পোদ্দার বলেন," তিন বছর ধরে তিনি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাচ্ছিলেন। এটা তারা ইফেক্ট হতে পারে। তবে গোটা বিষয়টি গবেষণা সাপেক্ষ।"  


বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ আশিস মান্না বলেন, "৭৬ বছরের মহিলার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা আমাদের কাছে একটা উদাহরণ। সাহস জুগিয়েছে। তবে তিনি কী ওষুধ খেতেন এই ধরনের কোন গবেষণালব্ধ  ফল আমাদের কাছে নেই । আমরা এখনই এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। তবে গোটা বিশ্ব জুড়ে এমন তথ্য মিলছে।"
করোনাকে হেলায় হারিয়ে এখন ফের গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন বৃদ্ধা। ছেলে-বৌমা-নাতি নিয়ে সুখের সংসারে ফের মন দিয়েছেন। তবে বিস্মিত তিনিও। তাঁর স্পষ্ট কথা, "গাঁটের ব্যথায় এ যাত্রা বেঁচে ফিরলাম। অন্তত আমাকে ডাক্তারবাবুরা তো তাই বললেন।"