নিজস্ব প্রতিবেদন: ১০ দিন বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার পর আর করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই। নির্দেশিকা দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নতুন নির্দেশিকায় বাড়িতে একান্তবাসের কী করণীয়, তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিভৃতবাসে করণীয়


খোলামেলা ঘরে রাখতে হবে কোভিড আক্রান্তকে। ঘরের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে তাঁকে। বিশেষ করে কো-মর্বিড থাকা বৃদ্ধ পরিজনকে কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। ঘরের জানলা খোলা রাখতে হবে। তিনস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে রোগীকে। মাস্ক ভিজে গেলে ৮ ঘণ্টা পরে তা বদলে ফেলতে হবে। পরিচর্যাকারী ও রোগী- দুজনেই  এন-৯৫ মাস্ক পরতে পারেন। বেশি করে জল খেতে হবে রোগীকে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার করবেন না ঘরের বাকি সদস্যরা।


কখন চিকিৎসকের পরামর্শ


শ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে ব্যথা ও মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হলে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 


কারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন


মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গ না থাকা রোগীরা মেডিক্যাল অফিসারের পর্যবেক্ষণ একান্তবাসে থাকতে পারবেন। 


বাড়িতে একা থাকার মতো ব্যবস্থা থাকতে হবে। 


সর্বক্ষণ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে রোগীর পরিচর্যায় থাকা ব্যক্তিদের।


মেডিক্যাল অফিসারের নির্দেশের পরই মধুমেয়, হার্ট, পাকস্থলী ও কিডনির সমস্যা ব্যক্তিরা একান্তবাসে থাকতে পারবেন। 


এইচআইভি, ট্রান্সপ্লান্ট ও ক্যানসারের চিকিৎসা চললে হোম আইলোসেশনে রাখা যাবে না। একান্ত হোম আইসোলেশনে থাকতে হলে নিতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ। 


পরিচর্যায় থাকা ব্যক্তিদের হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন নিতে হবে।


কী পথ্য


স্বাস্থ্যের অবনতি হলে বা কো-মর্বিডিটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দিনে দুবার গরম জলে গার্গল বা স্টিম নিতে পারেন রোগী। প্যারাসিটামল ৬৫০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট দিনে ৪ বার নিতে হবে। তার পরেও জ্বর নিয়ন্ত্রণে না আসলে ডাক্তারের পরামর্শ দরকার। শুধুমাত্র হাসপাতালে থাকলেই রেমডিসিভির নেওয়া যাবে। ঘরে থাকলে নয়। ৭ দিনের বেশি উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ বাঞ্চনীয়। শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। 


নিভৃতবাসের সময়সীমা 


অন্তত ১০ দিন ঘরে নিভৃতবাসে থাকতে হবে করোনা আক্রান্তকে। আগে অন্তত ১৭ দিন থাকতে হত। তা কমিয়ে দেওয়া হল। তবে শর্তও থাকছে। শেষ ৩ দিন জ্বর থাকলে চলবে না। নিভৃতবাসে কাটানোর পর আর করোনা পরীক্ষার দরকার নেই।       


আরও পড়ুুন- করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের কণ্ঠরোধ অনুচিত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট