নিজস্ব প্রতিবেদন-  ‘আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়লাম।প্রশাসনের এখন একটাই কাজ, মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের জন্যই রাজনীতি’। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে উত্তীর্ণ ভবনে সোমবার বৈঠকেপ পর একথা বলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দফতরের শীর্ষ অফিসাররা। বৈঠকে  আরও ছিলেন উপদেষ্টা চিকিৎসক শান্তনু সেন, ও অভিজিৎ চৌধুরী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে আছড়ে পড়ার পর, তার মোকাবিলা করবার জন্য বিশেষ কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পাণ্ডবেশ্বরে পদ্মছাপে এত জোরে বোতাম টিপবেন, দিদির কারেন্ট লাগবে কলকাতায়: অমিত শাহ


সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যে আরও বেশ কিছু ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ ও ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে। এরমধ্যে উত্তীর্ণতেও ৫০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরি করার ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি,  আনন্দপুরে ৭০০, কিশোরভারতীতে ৫০০ শয্যার ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরি হবে। গত বছরের মত  এবারও রাজারহাটেও পরিকাঠামো তৈরি করা হতে পারে। মোট ২০০০ শয্যা আয়োজন করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। যুদিধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: Covid 19: রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ থাকবে, আসতে হবে না শিক্ষকদেরও, ঘোষণা রাজ্য সরকারের
 


পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘করোনা প্রতিরোধ করাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ৫০০, উত্তীর্ণতে ৫০০, গীতাঞ্জলিতে ২০০, আনন্দপুরে ৭০০ বেড নিয়ে ‘সেফ হোম’ তৈরি হবে। ১০ টি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে থাকবে ‘সেফ হোম’-এর বাইরে। প্রথমে কোভিড আক্রান্তকে ‘সেফ হোম’-এ নিয়ে আসা হবে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হলে তবেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সুস্থ হলে আবার ‘সেফ হোম’-এ আনা হবে,  যতক্ষণ না তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হচ্ছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হবে।‘ মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সব নিয়েই প্রচার করবেন অফিসারেরা, জানালেন বিদায়ী পুরমন্ত্রী।