নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার বেলা সোয়া দুটো। হাতে তখনও স্যালাইনের চ্যানেল করা, পায়ে জুতো নেই। প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া। মোডিক্যাল কলেজের গ্রিন বিল্ডিংয়ের করোনা ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়লেন এক বৃদ্ধ। ঠিক করে ফেলেছেন, নাঃ এভাবে আর নয়। রাস্তায় বেরিয়ে চা খাব। তারপর সোজা বাড়ি। কিন্তু ব্যাপারটা অতটা সহজ হল না। নিমতায় বাড়ি ওই বৃদ্ধের পথ আটকালেন অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এই সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করে না, মুখ খুললেন ফারুক আবদুল্লা


ভবনের ৬ তলা থেকে বেরিয়ে ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধ ডাক্তার-নার্সদের ওঠানামা করার সিঁড়ি দিয়ে সোজা নিচে চলে আসেন। মুখে মাস্ক, পায়ে প্লাস্টিক জড়িয়ে অসুস্থ ওই বৃদ্ধ হাঁটছিলেন কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে। দেখেশুনে তাঁর পথ আটকান কয়েকজন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁরা জানতে চান, এই চ্যানেল হাতে নিয়ে কোথায় যাবেন?


রোগীর আত্মীয়দের প্রশ্ন শুনে এতটুকু অপ্রস্তুত না হয়ে বৃদ্ধ বলতে শুরু করেন, আমি করোনা আক্রান্ত। নিমতায় বাড়ি। এখানে ভর্তি ছিলাম ৬ তলায়। এখানে থাকলে আমি মরে যাব। ঠিকমতো খেতে পারি না। নেমে পালিয়ে এসেছি। আমাকে মেরে ফেলবে এরা। এইতো চায়ের দোকান। চা খাবে। তারপর বাড়ি চলে যাব।


আরও পড়ুন-এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩২,৩৬৪, জানুন আপনার জেলার পরিস্থিতি


বৃদ্ধের কথা শুনে অবাক হয়ে যান রোগীর আত্মীয়রা। তারাই খবর দেন পুলিসে। খবর যায় সুপারের অফিসে। গ্রিন বিল্ডিয়ের নীচে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। তার পর বৃদ্ধকে অনেক বুঝিয়ে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।