নিদস্ব প্রতিবেদন:  ক্রমেই কঠিন হচ্ছে চ্যালেঞ্জ। জ়টিল হচ্ছে পরিস্থিতি। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪২৩। ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৩৮ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। তবে তার মধ্যে আশার আলো, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ১০৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৩ হাজার ৬১৮ জন। পরিসংখ্যান দিয়ে জানাল প্রশাসন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক স্বাস্থ্য অধিকর্তার। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে তাঁর হৃদরোগেরও সমস্যা ছিল। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্যদফতর।
তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসনও। রবিবার সকাল থেকেই সংক্রামিত এলাকাগুলিতে রয়েছে কড়া নজরদারি। এদিন সকালে বারাসতে সংক্রমিত এলাকায় কড়া নজর রাখতে ওড়ানো হল ড্রোন। এইসময় উপস্থিত ছিলেন বারাসাত পুলিশ জেলার এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন উপেক্ষা করায় ১৭৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মধ্যমগ্রামে চলে নাকা চেকিং।  নজরদারিতে ছিল র্যাফ, পুলিস ফোর্স।



এদিকে, লকডাউনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিন ১০.২৫ মিনিটে প্রথমে বালিগঞ্জের বিএসএফ ক্যাম্প থেকে তাঁরা বার হন। খিদিরপুর ও বেহালা ট্রাম ডিপো এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে এলাকার ছবিও তোলেন তাঁরা।
এদিন হাওড়া এলাকাও পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সালকিয়া, পিলখানা, গোলাবাড়ি এলাকা ঘুরে হাওড়া ব্রিজ হয়ে কলকাতায় চলে যান  তাঁরা।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের আরও একটি দল উত্তরবঙ্গে রয়েছে। তাঁরা এদিন শিলিগুড়ি বিধান মার্কেট, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করা সবজি বাজার ঘুরে দেখেন।  ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করেন।