নিজস্ব প্রতিবেদন : বনধ ছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে ভারত বনধ ডেকেছিল বামেরা। কিন্তু, ১২ ঘণ্টার বনধের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় সরব হল সিপিআইএম নেতৃত্ব। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে RSS-এর দালাল বলে উল্লেখ করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। অভিযোগ করেন, "হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে, পাশে পুলিস-আমলাদের নিয়ে উস্কানি দিলেন। আর তারপর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল আক্রমণ করল। সুজাপুরে পুলিস উপরির আশায় অতিসক্রিয় হল। বাস গাড়ি ভাঙল।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বনধের তীব্র নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রতিটা বনধ ব্যর্থ হচ্ছে। তাও বছরে ৪টে করে বনধ ডেকে দেওয়া হচ্ছে। এই করতে করতে পার্টিটা সাইনবোর্ডে এসে ঠেকেছে। প্রতিবাদের অনেক পথ আছে। গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। গায়ের জোরে বনধ করতে দেওয়া হয়নি। আর হবেও না।"  সাংবাদিক বৈঠকে যার পাল্টা জবাব দেন সেলিম। বলেন, "উনি তো বনধ, গুন্ডামি, ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কতবার বনধ করেছেন? কতবার আগুন লাগিয়েছে? অবরোধ করেছেন? গুজব ছড়িয়ে কতবার গন্ডগোল করেছেন? বিধানসভা ভাঙচুর কি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট নয়? তিনি যখন ট্রাম-বাস পুড়িয়েছেন?"


শাসকদলের বিরোধিতা সত্ত্বেও এদিন বনধ সর্বাত্মকভাবে সফল বলে দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম। বনধ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, "তৃণমূল সরকারের উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না। তাই গুন্ডামি করে ভেঙে দিচ্ছে সব।" মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকেও সাংবাদিক বৈঠকে একহাত নেন সেলিম। বলেন, "এ রাজ্যে কুমারগঞ্জে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা, চার্চে হামলা, নববর্ষে ধর্ষণ খুন হয়েছে। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যে শান্তি! আর বনধ হলেই নাকি ক্ষতি। মমতার দল হুগলির বলপাইয়ে লাইব্রেরি পুড়িয়েছে।"


বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত রয়েছে বলেও সরব হন সেলিম। দিলীপ ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই সুরে কথা বলছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তোপ দাগেন, "মোদি-মমতা-দিলীপরা গণতন্ত্র ধ্বংস করছেন।" এখানেই শেষ নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'গুড টেররিস্ট-ব্যাড টেররিস্ট' মন্তব্যের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'কেরল সিপিআইএম ভালো, এখানে খারাপ' বলছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি।


আরও পড়ুন, ভিতরে ছিলেন প্রসূতি, অ্যাম্বুল্যান্স ঘোরানোয় দিলীপের বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ


উল্লেখ্য, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পাহাড়পুরে বিজেপি আক্রান্তদের বাড়ি ভাঙচুর পরিদর্শনে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে বামেদের বনধ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, "পুলিসের গাড়ি ভেঙে দেওয়া জ্বালিয়ে দেওয়া ছাড়া বামপন্থীদের করার কিছু নেই। তাদের সংগঠন আছে না সমর্থন আছে! অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য এই বনধ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আগেই বনধ কালচারকে বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। এই করে আর কিছু হবে না। বামেরা এখন হতাশ-নিরাশ, তাই এই সমস্ত কাজ করছে।"