ওয়েব ডেস্ক : সিপিএমে ফিরছে স্পাই-যুগ। টার্গেট, দলীয় সংগঠনকে রক্ষা ও তার প্রসার, দুইই। সেই লক্ষ্য পূরণে এবার গোপন কর্মীরাই ভরসা আলিমুদ্দিনের। এই কর্মী-যজ্ঞের ভার পড়েছে SFI-এর ওপর। সিপিএম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় দু হাজার গোপন কর্মী ছড়িয়ে পড়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।    
দু হাজার এগারোয় চৌত্রিশ বছরের শাসন কালে দাড়ি, সব দিক দিয়েই যেন লাল ঝান্ডার থমকে যাওয়ার শুরু। এরপর একের পর এক নির্বাচন। তাতে শোচনীয় পরাজয়।........


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘুরে দাড়াতে মরিয়া আলিমুদ্দিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট পর্যন্ত করেছে। কিন্তু রেজাল্ট একই। মানুষের প্রত্যাখান। অপর পক্ষের উত্থান। বহু জেলায় এখন দলের সংগঠন রক্ষাই দায় হয়ে পড়েছে। সামনে চ্যালেঞ্জ, দলের পতাকা ধরবে কে? সংগঠন কে সামলাবে?


ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে কৌশল বদল


দলীয় সংগঠনের হাল ফেরাতে, ইতিহাসের পথ ধরছে বঙ্গ ব্রিগেড। ফিরছে পুরনো কৌশল। স্পাই সিপিএম, অর্থাত্‍ গোপন কর্মী।


কী সেই 'স্পাই' সিপিএম
 
দলের সংগঠনকে বাঁচাতে এবার এই গোপন কর্মীরাই ভরসা সিপিএম নেতৃত্বের। কয়েক যুগ যাদের দেখা যায়নি। ক্ষমতায় থাকাকালীন দরকারও হয়নি। অথচ শুরুর দিকে সিপিএমের মূল ভরসা, মূল সৈনিক ছিলেন এরাই।


আরও পড়ুন- "দোষীদের আড়াল করতেই গ্রেফতারের পরিকল্পনা নারদা কর্তাকে!"


একটা সময় শ্যামল চক্রবর্তী, বিমান বসুরা দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন এই দায়িত্ব। নকশাল আমলই হোক বা জরুরি অবস্থা, দলের গোপন কর্মীরা হাল ধরেছেন সংগঠনের। ছড়িয়ে দিয়েছেন নীতি-মতাদর্শ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে, গোপনে। এবার দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, গোপন কর্মী নিয়োগের। ইতিমধ্যে কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, কোচবিহারে সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয়েছে সিপিএমের তরফে। এই জেলাগুলিতেই গোপন কর্মী নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া হয়েছে।  


ছাত্র রাজনীতি থেকে মূল ধারার  রাজনীতিতে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে, ছাত্র ব্রিগেডই মূল ভরসা সিপিএমের। তিরিশ সেপ্টেম্বর বসবে প্লেনাম। তার আগেই এই বিষয়টি গুছিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুদের। লক্ষ্য একটাই, ঘুরে দাঁড়ানো।