মৌমিতা চক্রবর্তী 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির দায় কার? নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলে কার্যত আরএসপি-কেই কাঠগড়ায় তুলল সিপিএম। আলিমুদ্দিনের সর্বক্ষণের কর্মীদের উদ্দেশে লেখা দলীয় চিঠিতে লেখা হয়েছে, প্রতিপক্ষদের কাছে নতিস্বীকার করেছে শরিক আরএসপি। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এসব বলা হচ্ছে। ক্ষিতি গোস্বামীর বক্তব্য, এমনটা হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে হবে সিপিএমকে। গোটা ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নটা উঠল, আগামী দিনে বামফ্রন্ট টিকে থাকবে তো? কারণ, শরিকদের ভোট বলতে আর কিছু নেই বলে মন করছে সিপিএম নেতাদের একাংশ। কংগ্রেসকেই প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছে ওই অংশের নেতৃত্ব।                


কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে আলিমুদ্দিনের নেতারা যতটা আগ্রহী, শরিক দলের নেতারা ততটা নন। এনিয়ে বামফ্রন্টের অন্দরে রয়েছে নানান টানাপোড়েন। লোকসভা নির্বাচনেই বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাটের মতো আসন নিয়ে শরিকদের বাধার সম্মুখীন হয়েছে সিপিএম।  অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইদ মহম্মদকে প্রার্থী করেছিল আরএসপি। সিপিএম যখন কংগ্রেসকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই সময় শরিকের এমন একগুঁয়ে মনোভাব ভালো চোখে দেখেননি সিপিএম নেতারা।  



এবার লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর্যালোচনায় সরাসরি আরএসপির দিকে আঙুল তুলল তারা। সিপিএমের পার্টি চিঠিতে লেখা হয়েছে,'২০১৪ সালে কংগ্রেসের প্রাপ্ত চারটি আসনের মধ্যে, ২টি আসনে বামফ্রন্টের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সমঝোতার উদ্যোগ নিষ্ফলা হওয়ায় লাভবান হয় প্রতিপক্ষ'। কিন্তু কোন প্রতিপক্ষ দল লাভবান হয়েছে তা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। 


সিপিএমের মূল্যায়ন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ায় ভোটে ভরাডুবি হয়েছে। আর তার দায় এবার মূলত, আরএসপির ওপরই চাপিয়ে দিল তারা। দলের সর্বক্ষণের কর্মীদের কাছে যায় দলীয় চিঠি। সেখানে এই মূল্যায়ন নথিবদ্ধ করে দলীয় কর্মীদের কাছেও আরএসপিকে ভিলেন বানাল আলিমুদ্দিন। যা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শরিক দল। আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কথায়,'বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। ফ্রন্টের বৈঠকে নিশ্চিতভাবে তুলব। এমনটা হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে হবে সিপিএমকে'।   


বাম সরকারের জমানাতেও শরিকদের ঠোকাঠুকি লেগে থাকত সিপিএমের। কিন্তু এখন শরিকরা কার্যত মাথাব্যাথ্যায় পরিণত হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর। শরিক দলগুলির সংগঠন বলে যে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, তা বিলক্ষণ অনুধাবন করা গিয়েছে গত লোকসভা ভোটে। অতএব এমন প্রেক্ষাপটে শরিকদের চেয়ে কংগ্রেসের হাত ধরাই অগ্রাধিকার বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে আগামী দিনে ফ্রন্টে ভাঙন ধরলেও বিস্মিত হওয়ার উপাদান থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপির সংগঠনে বড় রদবদল? প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক ঘিরে জল্পনা