ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেসের অবস্থান যাই হোক, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বামেরা। বাম পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত PAC-তে প্রতিনিধি পাঠাবেন তাঁরা। PAC-তে যাবেন সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য ও বিশ্বনাথ চৌধুরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের ব্যয় বরাদ্দের হিসেব করে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংক্ষেপে ক্যাগ। ক্যাগের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। বিধায়ক সংখ্যার অনুপাতে PAC-তে প্রতিনিধিত্ব পায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রথা অনুযায়ী বিধানসভায় বিরোধী দলকেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়।


ক্যাগ রিপোর্টে সরকারি বরাদ্দে অসঙ্গতি পেলে সংশ্লিষ্ট দফতরের জবাবদিহি চাইতে পারে PAC। সরকারের ব্যয়বরাদ্দে নজর ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে PAC-র গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান বিধানসভায় PAC প্রধানের পদে কংগ্রেসের মানস ভুঁইঞার নাম ঘোষণায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠছে,  PAC প্রধানকে হাতে রাখার উদ্দেশ্যেই ওই পদে মানস ভুঁইঞার নাম ঘোষণা করিয়েছে শাসক দল।


আরও পড়ুন ভর সন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি সল্টলেকে!


পরিস্থিতিতে করণীয় কী? বামেরা কি PAC বয়কটের পথে হাঁটবে। উত্তর খুঁজতে অতীতে উঁকি দিয়েছেন আলিমুদ্দিনের প্রবীণ নেতারা। গণতন্ত্র লুণ্ঠন ও রিগিংয়ের অভিযোগে উনিশশো বাহাত্তরে বিধানসভা বয়কট করে বামেরা। সেই সময় বিধানসভাকে জালিয়াতি বিধানসভা আখ্যা দেয় বাম শিবির। ৫ বছর বিধানসভায় যাননি, কোনও কমিটিতে যোগ দেননি, ভাতা তোলেননি বাম বিধায়করা। জ্যোতি বসুর স্তরের নেতাও নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেন। এই বয়কট পরবর্তী নির্বাচনেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট।


আলিমুদ্দিন বলছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তাদের অভিযোগ থাকলেও ৭২-র পরিস্থিতি এখনই তৈরি হয়নি। পরিষদীয় দল ও রাজ্য বামফ্রন্ট ঠিক করেছে, PAC-তে প্রতিনিধি পাঠাবেন তাঁরা। বামফ্রন্টের তরফে সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য ও বিশ্বনাথ চৌধুরী PAC-তে যাবেন। বিধানসভায় দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালন করতেই PAC-তে যোগদান। বলছে বামেরা। এক্ষেত্রে কংগ্রেস কী করবে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় বাম পরিষদীয় দল।