ওয়েব ডেস্ক: সিপিএমে রক্তক্ষরণ আটকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আন্দোলনই কি সমাধানের পথ? নাকি নীতি-নির্ধারণ কমিটিতে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান? সমাধান খুঁজতে দলে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণেই জোর দিচ্ছে দল। তবে কলকাতায় শেষ কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনামে উঠে এসেছে একেবারে বিপরীত ছবি। দলে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ যে এখনও সন্তোষজনক নয়, সম্প্রতি রাজ্য কমিটির বৈঠকেও উঠে এসেছে এই তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১১ থেকেই সিপিএমে ভাটার টান। রাজ্যে পরিবর্তনের পর ঘুরে দাঁড়ানোর কাজে সফল নন শীর্ষ নেতৃত্ব। দলে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান চেয়ে জোরালো আওয়াজ উঠলেও বাস্তবে ছবিটা বদলায়নি। বরং তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ক্রমশই কমছে। শেষ বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরও বদলায়নি ছবিটা। দলের সাংগঠনিক রিপোর্টে উঠে এসেছে সেই ছবি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলে তরুণদের অবদান কমে গিয়েছে।


অনেক রাজ্যেই তরুণ সদস্যের অনুপাত সন্তোষজনক নয় বা বেশ খারাপ। পার্টির বিশাল গণভিত্তি বিচার করলে আরও তরুণ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন। কিন্তু গোটা দেশের বাস্তব ছবিটা মোটেই আশাপ্রদ নয়। কেরলে দলে তরুণ সদস্যের অনুপাত মাত্র ২২.৭ শতাংশ। তেলেঙ্গানায় ২৫। অন্ধ্রে ২৪.৬। ত্রিপুরায় মাত্র ১৮.৩। এ রাজ্যের ছবিটা আরও করুণ। দলে তরুণ সদস্য মাত্র ১৩.৫ শতাংশ।


তবে এই পরিস্থিতির জেরেই রাজ্য কমিটিতে তরুণ মুখের সংখ্যা বেড়েছে। গত বিধানসভা ভোটে শতরূপ ঘোষ, কৌস্তুভ চ্যাটার্জি, মধুজা সেন রায়ের মতো একাধিক তরুণ সদস্যকে প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে আসার প্রবণতা যে কমছে, তা মেনে নিচ্ছেন এই তরুণ তুর্কীরাই। দলের সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে এসএফআই সদস্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার। গত কয়েক বছরে তা বেড়েছে মাত্র ২০ হাজার। এই মুহূর্তে কলকাতার কোনও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্ষমতায় নেই এসএফআই।


এর সমাধান কোথায়? কোন কৌশলে ফের দলে ফেরানো যাবে তরুণ প্রজন্মকে?  নীতি-নির্ধারণ কমিটিতে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসানই বা কবে?  আদৌ কি টনক নড়বে আলিমুদ্দিনের?