নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনের আগে অহরহ 'বিজেমূল' কটাক্ষ শোনা গিয়েছিল সিপিএম (CPM) নেতাদের গলায়। গানও রচিত হয়েছিল। তা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন খোদ দলের রাজ্য সম্পাদক। ভোটের পর ঢোঁক গিলেছে আলিমুদ্দিন। পার্টির নোটে লেখা হয়েছে,'বিজেমূল ভুল।' কিন্তু এখানে শেষ নয়! বরং বিজেমূল নিয়ে দিশাহীন অবস্থা বঙ্গ সিপিএমের।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নেট মাধ্যমে দলের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় সূর্যকান্ত (Surjya Kanta Mishra) বলেছিলেন,'আমরা বলেছিলাম বিজেমূল। কিন্তু রাজনীতিতে জুড়ে দিলে অসুবিধা হয়। জন্ম দেয় বিভ্রান্তির। কার সঙ্গে লড়াই, কে প্রধান শত্রু তা নিয়ে অস্পষ্ট তৈরি হয়।' সেই অস্পষ্টতা কাটাতে কাকাবাবুর জন্মদিন উপলক্ষে পাঠচক্রের জন্য পার্টি-নোটে বলা হয়েছিল, 'বিজেপি ও অন্য কোনও রাজনৈতিক দল এক নয়। বিজেপিকে পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদী আরএসএস। কিন্তু নির্বাচনের সময় কোথাও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল সমান। বিজেমূল জাতীয় স্লোগানের ব্যবহার করা, বিজেপি-তৃণমূল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ'র মতো কথা কিছু বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।' কিন্তু মুজফফর আহমেদের জন্ম উপলক্ষে সেমিনারে 'বিজেমূল' নিয়ে কার্যত ঘেঁটে ঘ হলেন সিপিএম নেতারা। কী রকম?    


সেমিনারে  (Surjya Kanta Mishra) সূর্যকান্ত স্পষ্ট করে দেন,জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে চাইছে বামেরা। অর্থাত্‍ বিজেমূলের মূলের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন,'বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সঙ্গে নিতে হবে সবাইকে। সুতরাং তৃণমূলকেও নিতে হবে। সারা দেশে বিরোধীরা একজোট হতে পারলে ভালো হয়।' তবে রাজ্যে 'বিজেমূল' নীতিতেই আটকে থাকবেন। তিনি বলেন,'এ রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়তে হবে। যাঁরা বলছেন তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপির মোকাবিলা করা যাবে তাঁরা বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন।'           
 সূর্যকান্ত যখন এমন বার্তা দিচ্ছেন তখন ওই সেমিনারে মহম্মদ সেলিম তৃণমূল ও বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে দিলেন। তিনি বলেন,'বিজেমূল-টিজেমূল এসব খারাপ! আচ্ছা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-ইডি হয়ে আমাদের রাজ্যে সংকর প্রজাতির রাজনীতি তৈরি হয়নি? একে কী বলবেন আপনারা? এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে না! আমরা রাজনীতির জগতে বলিনি কংশাল। কংশাল মানে কংগ্রেস ও নকশাল কী এক হয়ে গিয়েছে?'


'বিজেমূল' নিয়ে আদতে কী ভাবছেন সিপিএম নেতারা? একবার বলছেন, তৃণমূল ও বিজেপি এক। পার্টি নোটে বলা হচ্ছে, দুই দল আলাদা। আর 'দিল্লিতে দোস্তি বাংলায় কুস্তি' হলে কী প্রভাব পড়বে জনমানসে? দলের লাইন ঠিক করতে দিশাহীন হয়ে উঠছেন না? থেকে যাচ্ছে এই প্রশ্ন। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন,সূর্যকান্ত মিশ্ররা ভুলভুলাইয়ায় পথ হারিয়ে কর্মীদেরও জন্যও গোলকধাঁধা তৈরি করছেন।


আরও পড়ুন- BJP-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে সঙ্গে নিতে হবে, স্পষ্ট করে দিলেন Surjya Kanta


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)