মৌমিতা চক্রবর্তী: সিপিএম নেতাদের দলে নিয়ে আসুন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতা। কিন্তু বিজেপির আহ্বানে দল ছেড়ে কেউ যাবে না বলে দাবি করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শমীক লাহিড়ি কটাক্ষ, ঘুরিয়ে বিজেপি স্বীকার করে নিল, ওদের দলে শিক্ষিত নেতা নেই।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য বিজেপির দলীয় বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ, বর্তমানে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা বার্তা দেন, তৃণমূল সে লোক লাকে ক্যা হোগা। সব গন্দা হ্যায়। সিপিএম সে নেতা লাও। ও লোক মার্জিত, শিক্ষিত হ্যায়। পাবলিক খাতা হ্যায়। তৃণমূল ছাড়ুন, সিপিএম নেতাদের দলে নিন, রাজ্যকে নির্দেশ বিজেপির শীর্ষ নেতার শীর্ষক জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতারা। সুজন চক্রবর্তীর কথায়,''অমিত মার্কা কথা এটা। তৃণমূল তো ওর পকেটে ঢুকে গেছে। সারদা, নারদা ও রাজীব কুমারের ব্যাপারটা দেখলেন না! আমাদের কাছে জনগণের শংসাপত্র রয়েছে। ওদের শংসাপত্রের দরকার নেই। কোনও দেশপ্রেমিক, গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ বিজেপিতে যাবে না। বামপন্থীরা আদর্শ নিয়ে চলে। মানুষ এটা জানে। জানে বলেই বামপন্থীরা গুরুত্ব পায়।'' 


শমীক লাহিড়ির কটাক্ষ, স্বীকার করলেন তো বিজেপিতে কোনও শিক্ষিত নেতা নেই! শমীকবাবুর কথায়,''অন্য পার্টি থেকে ধার করে ওদের চলতে হয়। যেমন এমএলএ ধার করে। নিজেই যে পার্টিকে অশিক্ষিত বলছেন, সেই পার্টিতে মার্জিত, ভদ্র, শিক্ষিত মানুষ যেতে পারে না।'' 



বলে রাখি, লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের হাত ধরে শিবির বদল করেন অর্জুন সিং, শঙ্কুদেব পণ্ডা, সৌমিত্র খাঁ, নিশীথ প্রামাণিক ও অনুপম হাজরা। তাত্পর্যপূর্ণভাবে বামেদের মরা বাজারে একজন প্রভাবশালী সিপিএম নেতাও ভাঙাতে পারেনি বিজেপি।


আরও পড়ুন- মোদীর জমানাতেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা নজিরবিহীন, বলছে সরকারি পরিসংখ্যানই