ওয়েব ডেস্ক : সিটি সেন্টার টু-এর বন্ধ দোকানের দরজা খুলতেই মিলল সাড়ে চার কোটির বেশি টাকা। কিন্তু টাকা পেয়েও মাথায় হাত! কারণ অনেকটাই পুরনো নোটে। কে পাবে সেই টাকা? কে নেবে টাকার দায়? মাথায় হাত পরিবারের। পুরো আট মাসের টানাটানি। শেষে ৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবাক লাগলেও সঙ্গীতা প্রসাদ ও তাঁর ছেলে পীযুষের দশাটা এখন এরকমই। টাকা পেয়েও যে এত রকম সমস্য হতে পারে, কে বা জানত! সিটি সেন্টার টুয়ে এই দোকানটি কিনেছিলেন সঙ্গীতার স্বামী, ব্যবসায়ী কমলেশ প্রসাদ। তারপর ভাড়া দিয়ে দেন। ২০১২-য় ভাড়াটেদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে বন্ধই ছিল দোকানটি। গত বছর অক্টোবরে মারা যান কমলেশ প্রসাদ। কয়েক মাস পরে স্বামীর সম্পত্তির খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন সঙ্গীতা। তখন খোঁজ পান সিটি সেন্টার টু-এই দোকানের। আর্থিক সমস্যায় থাকা সঙ্গীতা ঠিক করেন ফের দোকান ভাড়া দেবেন। ডিসেম্বরে দোকানটি খোলেন সঙ্গীতা। সেই বন্ধ দোকানেই কোটি, কোটি!


একটি বন্ধ আলমারি খুলতেই মেলে থরে থরে সাজানো নোট! আলমারি খুলতেই ৪.৫২ কোটি! দোকান থেকে  রীতিমতো গুপ্তধন পেয়েও লাভ হয়নি সঙ্গীতার। কারণ ততদিনে নোট বাতিলের ঘোষণ হয়ে গেছে। উদ্ধার হওয়া নোটের বড় অংশই বাতিল নোটে। ২০১৪-র নোট রয়েছে সেখানে। এত্ত টাকা!  কিন্তু বাতিল নোট নিয়ে কী হবে! শুরু হয় সঙ্গীতার নতুন লড়াই!


RBI  সঙ্গীতা অনুরোধে টাকা বদল করতে রাজি হয়নি। সঙ্গীতার অনুরোধে সাড়া দেয়নি আয়কর বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর কাছেও দরবার করেন সঙ্গীতা। শেষে টাকার মালিকানা চেয়ে হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টেও  যান সঙ্গীতা। তবে লাভ হয়নি। শেষে বিধাননগর কমিশনারেটে চিঠি দেন তিনি। বুধবার সেই টাকাই উদ্ধার করেছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া নোটে কিছু একশ টাকার নোটও আছে। তবে, সঙ্গীতা যে তিমিরে ছিলেন, সেখানেই আছেন। প্রশ্ন এখন একটাই, এ টাকা কে পাবে?


আরও পড়ুন, এখনই বাতিল হচ্ছে না ২০০০-এর নোট, ফের স্পষ্ট করলেন জেটলি