নিজস্ব প্রতিবেদন: মিনাখাঁয় বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় বিজেপি নেতাদের। গতকাল গাড়িতে বোমা হামলার পর গুরুতর আহত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, বাবু মাস্টারের শরীরে ঢুকে গিয়েছে বোমার সপ্লিন্টার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কুদেব পণ্ডা ও অর্জুন সিং। জানা গিয়েছে, দলবদলের পরেই মিনাখাঁর বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারের গাড়িতে লক্ষ্য করে গুলি, বোমা ছোড়া হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই  অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে মিনাখাঁ থানা ঘেরাও করবে বিজেপি সমর্থকরা। 


ঘটনায় অর্জুন সিং বলেন,  "বাবু মাস্টার যবে থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল তবে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ধস নেমেছিল, এরপর থেকে বিজেপি দল ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোতিপ্রিয় মল্লিক ধমকাচ্ছিলেন বাবু মাস্টারকে, বাবু মাস্টার জানিয়েছিলেন, প্রাণে মেরে দাও, জানে মেরে দাও বিজেপি ছাড়ব না"। 


মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগসূত্র অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছে, নতুন বিজেপির সঙ্গে পুরোনো বিজেপির সংঘর্ষ তৃণমূল যুক্ত নয়। তৃণমূল ব্ংলার রাজনীতি বিশ্বাস করে না। বাবু মাস্টারের অনেক শত্রু ছিল। 


প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাবু মাষ্টার। শুভেন্দু দল ছাড়ার পর সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন বসিরহাটে একটি সভা সেরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন বাবু। ফেরার পথে বাসন্তী হাইওয়ের উপর লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে তাঁর উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, অন্তত ১০-১২ জন বাবু মাস্টারের কালো রঙের গাড়ি গাড়ি ঘিরে ধরে। লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি স্পিড ব্রেকারের আগে গাড়ি আস্তে হয়ে গেলে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে বোমা ছোড়া হয়, তার পরে বাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।