ওয়েব ডেস্ক: প্রবল চাপের মুখে সুর বদল। গতকাল হেনস্থার ঘটনাকে আমল না দিলেও আজ মুখ খুললেন উপাচার্য। বললেন, দশ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন ঘটনা দেখেননি। সুরঞ্জন দাশের সঙ্গে একসুর শিক্ষামন্ত্রীরও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, কালকের ঘটনা অনভিপ্রেত।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকদের হেনস্থার ঘটনায় অবশেষে মুখ খুললেন উপাচার্য। তাঁর প্রতিক্রিয়া, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। দশ বছরের অভিজ্ঞতায় এরকম ঘটনা ঘটেনি। গতকাল উত্তেজনা থাকায় মুখ খোলেননি বলে দাবি করে উপাচার্য বলেন, পুলিস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর পক্ষপাতি নন তিনি।


ছবিতে দেখা গেছিল অনেক কিছু। ছাত্রদের তাণ্ডব। আক্রান্ত অধ্যাপকরা। হেনস্থার শিকার উপাচার্য। প্রথমে অনেক কিছু বলে ফেললেও, তারপর থেকে সুর নরম করতে শুরু করেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ। 


আর শিক্ষামন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছিলেন কিছুই তো ঘটেনি। কিন্তু, তারপর ঘটে অনেক ঘটনা। প্রতিবাদে ঝড় গোটা রাজ্য জুড়ে। রাস্তায় অধ্যাপক ছাত্ররা।নিন্দায় বিশিষ্টরা। শেষপর্যন্ত, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে মুখ খুললেন উপাচার্য। অনেকটা রেখে ঢেকে হলেও,যা বললেন তাকিন্তু, যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ।


যে শিক্ষামন্ত্রী ঘটনা স্বীকারই করতে চাননি এদিন তিনিই বললেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা অনভিপ্রেত। শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তিতে দুঃখপ্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মেনে নিলেন যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। সিন্ডিকেট রুমের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের নিন্দা করে শিক্ষকদের যৌথ মঞ্চকে দূষেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আবার বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। মঙ্গলবার হেনস্থার পর একসুরে কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্য। বুধবারও একসুর দুজনের গলায় । কিন্ত, যারা সেদিন তাণ্ডব চালাল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করল, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবেন উপাচার্য? পাশে দাঁড়াবে সরকার। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।