জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক দিনের ঝটিকা সফরে কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। শনিবার সকালে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সম্প্রচার এবং যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কলকাতায় তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন তিনি। তবে এদিন কলকাতায় নেমেই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস সহ একযোগে ইন্ডিয়া জোটের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর তোপ দাগেন,  পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। গরিবদের উন্নতি প্রকল্পে যে টাকা কেন্দ্রের তরফ থেকে পাঠানো হয় সেখান থেকে কমিশন নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মন্ত্রী নেতাদের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন! কেন দুর্নীতিপরায়ণদের আশ্রয়? আর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে এজেন্সির উপর আক্রমণ হয়। বলেন, শাহজাহানের মতো লোকদের কারা  আশ্রয় দিচ্ছে? তোপ দাগেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তার নেতারা দুর্নীতিপরায়ণ লোকেদের গ্রেফতার করানোর বদলে আশ্রয় দিচ্ছে।


প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে ৭ দিন পর শুক্রবার প্রথম গ্রেফতার হয়। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে ফকিরতোকিয়ার মেহবুর মোল্লা ও সুকমল সরদার নামে ২ জনকে  গ্রেফতার করা হয়। যদিও এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। ইডি অফিসারদের উপর চড়াও হয় শেখ শাহাজাহানের অনুগামীরা। মাথা ফাটে ইডি অফিসারের। একইসঙ্গে ইডি অফিসারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ফাইলও। ছিনতাই হয়ে যাওয়া ফাইলের মধ্যে রয়েছে রেশন দুর্নীতির 'সেনসেটিভ অ্যান্ড কনফিডেন্সিয়াল' নথি। ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে উঠে আসা তথ্যপ্রমাণ ছিল সেই ব্যাগের মধ্যে।


পাশাপাশি সাধু নিগ্রহের ঘটনা প্রসঙ্গেও বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি কেন তৈরি হয়? রাম জন্মভূমিতে শিলান্যাসের সময় পশ্চিমবঙ্গে কারফিউর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়! এবার হিন্দু সাধুদেরকেও মারার চেষ্টা করা হল। এত হিন্দু বিরোধী চিন্তাভাবনা কেন? উল্লেখ্য, গুজবের জেরে উত্তরপ্রদেশের বরেলির তিন সাধু এবং তাঁদের সঙ্গীদের গণপিটুনির অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কাশীপুরে। সেই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিস। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধু, যাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে, তাঁদের গাড়িচালক এবং রাঁধুনি কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে গঙ্গাসাগরের রাস্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এরপরই আচমকা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের উপর চড়াও হয় গ্রামবাসীদের একাংশ। সাধুদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিস গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। একইসঙ্গে অনুরাগ ঠাকুর কটাক্ষ করেন ইন্ডিয়া জোটকে। বলেন, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বুয়া-বাবুয়ার মধ্যে টানাটানি চলছে! 


আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'মুখ্যমন্ত্রীর ফোন সার্চ করলে অনেক কিছু বেরোবে', ইডি প্রশ্নে মমতাকে তোপ দিলীপের



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)