নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ইয়াস'-এর (Cyclone Yaas) পর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে 'গুলাব' (Cyclone Gulab)। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গোপালপুরের কাছে কলিঙ্গপত্তনমে রবিবার বিকেল ৩টে থেকে ৫টার মধ্য়ে আছড়ে পড়তে পারে ওই সাইক্লোন। অভিমুখ হবে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূল।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু কেন এমন নাম? কী এর অর্থ?



আসলে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি রেখেছে পাকিস্তান। এর মানে হল 'গোলাপ ফুল'।  WMO/ESCAP প্য়ানেলের অন্তর্গত দেশগুলো এই নামকরণ করে। প্যানেলে রয়েছে ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইয়েমেন- এই ১৩টি দেশ।



২০০০ সালে ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম বানানো হয়। তাতে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। এতে থাকা ওই ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দেয়। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৬৯টি নাম জমা পড়ে। সেই তালিকা থেকেই ফণী, হুদহুদ, আমফান, নিঃসর্গ, তাওকত, ইয়াস প্রভৃতি নামগুলি এসেছে। ‘যশ’-এর পরের নামটি হল 'গুলাব'। 


আগের একটানা বৃষ্টির ফলে এখনও জলমগ্ন কলকাতার বহু জায়গা। নাজেহাল শহরবাসী। এই অবস্থায় ফের বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা শুনে প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করেছে লালবাজার। শনিবার রাত ১২টা থেকে শুরু সর্বক্ষণের কন্ট্রোল রুম। পুলিসের পাশাপাশি থাকছে দমকল, কেএমসি, পিডব্লুডি। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে একজন যুগ্ম কমিশনার এবং একজন ডিসি। জমা জলে ইলেক্ট্রিক তার পরে ইতিমধ্যে কলকাতায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই সতর্ক সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। কলকাতায় রয়েছে ৪ টি দল। 


ভারী বৃষ্টির সর্তকতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে। বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। বুধবারেও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। উত্তরবঙ্গে আপাতত দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। তবে হালকা-মাঝারি বৃষ্টি এবং মেঘলা আকাশ। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।