নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র বেরিয়ে আসছে। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সম্পূর্ণ একটা চিত্র সামনে আসতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা লাগবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের তিনি জানান ইয়াস-এ রাজ্যে ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-চিতাবাঘকে পিষে ডিকিতে তুলে পালানোর চেষ্টা, তাড়া করে ঘাতক গাড়ি ধরল পুলিস


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে ফিল্ডে গিয়ে খতিয়ে দেখলে আসল ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। সরকারি তথ্যের উপরে ভিত্তি করে এটা দেখা গিয়েছে। তবে এরপর ফিল্ডে গিয়ে সার্ভে হবে। জল না নামলে তা সম্ভব নয়। তাই একটু দেরি হবে।


স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মমতা বলেন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুর্গত এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠাতে। অনেক মানুষ সাপের কামোড়ে মারা যায়। এটা দেখতে হবে। সাগর, সুন্দরবন এলাকাকে গুরুত্ব দিতে হবে। গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্গত ব্লকগুলিতে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিসেবকদের যদি পাঠানো যায় তা দেখতে হবে।


আরও পড়ুন-LIVE: বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ শুনানি, মামলায় রাজ্যকে 'পার্টি' করার অনুমতি হাইকোর্টের


ইয়াসের দাপটে রাজ্য়ের ১৩৪টি বাঁধ ভেঙেছে। এনিয়ে মমতা সেচ দফতরের আধিকারিকে প্রশ্ন করেন, আজও বিদ্যাধরীর বাঁধ ভেঙেছে। দিঘায় একটা পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে এত বছর ধরে। কেন এত দিন সময় লাগছে! টাকা কি কম নিচ্ছে ? টাকা তো কম নিচ্ছে না। কেন এতদিন সময় লাগছে। এর একটা তদন্ত করা হবে। টাকা তো সব জলেই চলে যাচ্ছে! সেচ দফতরের জন্য কোনো অর্থ আগে বরাদ্দ করা যাবে না। অর্থ দফতর সব খতিয়ে দেখে তবেই যেন অনুমোদন দেয়। আমি অর্থ দফতর কে বলব আমফানের সময় যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলোর অবস্থা কি তা খতিয়ে দেখতে হবে। সরকার থেকে আপাতত ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে। ৩ জুন থেকে চালু হবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প। ওইসময় কার কী ক্ষতি জেনে নেওয়া হবে।