DA Movement: ডিএ জট খুলতে আসরে রাজ্যপাল, কী পদক্ষেপ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস?
DA Movement: গত মাসের ৯ তারিখ থেকে অনশন আন্দোলন চলছে। তবে দিন যত এগোচ্ছে আন্দোলনের তীব্রতা ততই বাড়ছে। শুক্রবার একদফা কর্মবিরতি হয়ে গেল। ধরনামঞ্চে এক আন্দোলনকারী বললেন, রাজ্যপালকে আমাদের অনুরোধ উনি রাজ্য সরকারকে বলুন আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এক সমাধানের পথ বের করতে। এতদিন হয়ে যাওয়ার পরও সরকার নির্বিকার। আলোচনায় সমাধান হবে এটা আমরাও বিশ্বাস করি।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চার সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আলোচনার মাধ্যমে অনশন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেছেন, সবচেয়ে মূল্যবান সহ নাগরিকদের জীবন। ট্যুইট করে এমনই আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত, বেজায় চটলেন আরাবুল!
সম্প্রতি একবার মৌখিকভাবে ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এবার একেবারে ট্যুইট করে অনশন তুলে নেওয়ার কথা বললেন। রাজ্যপাল লিখেছেন যে কোনও ইস্যু অনেকটাই জটিল হতে পারে। কিন্তু তা থেকে বের হওয়ার একটা রাস্তা রয়েছে। যে ভাইরা অনশন করছেন তাদের জীবন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই অনশন খুবই উদ্বেগের। যেভাবে অনশন চলছে তাতে তিনি ব্যথিত।
ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ওই টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রাজ্যপালের পরামর্শ, যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা আলোচনায় বসে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা উচিত।
এদিকে, গত মাসের ৯ তারিখ থেকে অনশন আন্দোলন চলছে। তবে দিন যত এগোচ্ছে আন্দোলনের তীব্রতা ততই বাড়ছে। শুক্রবার একদফা কর্মবিরতি হয়ে গেল। ধরনামঞ্চে এক আন্দোলনকারী বললেন, রাজ্যপালকে আমাদের অনুরোধ উনি রাজ্য সরকারকে বলুন আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এক সমাধানের পথ বের করতে। এতদিন হয়ে যাওয়ার পরও সরকার নির্বিকার। আলোচনায় সমাধান হবে এটা আমরাও বিশ্বাস করি। আলোচনা ফলপ্রসু হলে তো আর আন্দোলন করার কোনও প্রয়োজন নেই।
ডিএ আন্দোলন নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকার স্যাটে হেরেছে। সিঙ্গল বেঞ্চে হেরেছে, ডিভিশন বেঞ্চে হেরেছে। সুপ্রিম েকার্টে গিয়ে তারা এখন একটা আইনি জটিলতা তৈরি করতে চাইছে। রাজ্যপালের উচিত রাজ্য সরকারকে বলা। এখানে দুপক্ষে বসে নতুন সূত্র বের করার কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, যে কেউ অভিভাবক হলে একথা বলতেই পারেন। কিন্তু যেহেতু পদটা রাজ্যপালের সেহেতু আমরা আশা করব এই ডিএ নিয়ে তাঁর উদ্বেগের পাশাপাশি এটাও থাকবে কেন্দ্রের উচিত রাজ্যের যে বকেয়া রয়েছে সেগুলো দিয়ে দেওয়া।