নিজস্ব প্রতিবেদন: "দক্ষিণেশ্বরের গর্ভ মন্দিরের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা একটু ছোট। গর্ভগৃহের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্যই আমরা গর্ভগৃহে কাউকে ঢুকতে দিই না। বিশেষ কোনও অতিথি না এলে মায়ের গর্ভগৃহে অনুপ্রবেশের অনুমতি কাউকেই দিই না", কালীপুজোর দিনে ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন দক্ষিণ্বেশরের ভবতারিণী মন্দিরের সেবায়েত। পুজো প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেবায়েত বারে বারে জানালেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের রীতিনীতির কথা।  "মা নাও, মা খাও। নিজের মায়ের সঙ্গে যে ব্যবহার করি, দক্ষিণ্বেশরের মায়ের সঙ্গেও সেই ভাবেই ব্যবহার করা হয়। নিজের যা ভালো লাগে সেই সবই মাকে উৎসর্গ করা হয়", ঠাঁকুরের (রামকৃষ্ণ দেব) এই পুজো রীতিকেই এখনও মেনে চলা হয় বলে জানালেন মন্দিরের পূজারি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- হাতে নাতে ঈশ্বরের প্রমাণ দেন ধুবুলিয়ার নারায়ণ!



কালীপুজোর দিন দক্ষিণেশ্বরের রাজ রাজেশ্বরী মাকে যে যে ভোগ দেওয়া হবে সে বিষয়েও বিশদে জানিয়েছেন মন্দিরের সেবায়েত। "খুব সাদামাটা ভাবে চিণ্ময়ী মায়ের পুজো হয়। তবে কালীপুজোর দিন মায়ের জন্য থাকে বিশেষ ভোগ। চার পাঁচ রকমের মাছ। পায়েস তো থাকেই সঙ্গে দেওয়া হয় পাতি লেবুও। ভোগারতির পরই মা বিশ্রাম নেন", দক্ষিণ্বেশরের গর্ভগৃহ থেকে এই কথাই জানিয়েছেন সেবায়েত। একই সঙ্গে এদিন মায়ের বিশ্রামের সময় কমে যাওয়ার কারণে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। "আজ পুজোর দিনে এত মানুষ আসেন যে মাকে বিশ্রামই দেওয়া হয় না। এর জন্য মায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি। আজ একটু কম বিশ্রাম নাও", এভাবেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পূজারি।


আরও পড়ুন- ছোট মেয়ের বায়না মেটাতেই দিন কাবার সাহাবাড়ির