ওয়েব ডেস্ক : দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের পিলারের নকশায় গলদ। পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিল RITES। নকশা বদলে আরও পাকাপোক্ত হল পিলার। এ বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা। আগামী বছরের প্রথমে কল্পতরু উত্সবের আগেই দর্শনার্থীদের জন্য স্কাইওয়াক খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্যের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

না, কোনও বিদেশের ছবি নয়। দক্ষিণেশ্বরের ছবি। ঠিক এভাবেই বদলে যাবে দক্ষিণেশ্বরের হালচাল। স্কাইওয়াকের দৌলতে মায়ের কাছে পৌছে যাওয়ার রাস্তাটা আরও মসৃণ হয়ে যাবে ঠিক এভাবেই। ঝাঁ চকচকে। ঝলমলে আকাশপথে হেঁটে যাওয়া। রাজ্যে এই প্রথম।


দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে নেমে হোক বা বিবেকানন্দ সেতু ধরে এগিয়ে আসা। রানি রাসমণি রোড, টি এন বিশ্বাস রোড, জেটি ঘাট রোড ধরে মন্দিরে পৌছতে পদে পদে বাধা। রাস্তা দখল। ফুটপাথে দোকানের সারি। পথচারীদের নেমে আসতে হয় রাস্তার ওপর। ঘিঞ্জি রাস্তা। উত্‍সবের দিনে তো আরও সাঙ্ঘাতিক অবস্থা।


আরও পড়ুন- ফের বেপরোয়া গতির জের, রাতের শহরে দুর্ঘটনা


মুক্তির উপায় স্কাইওয়াক। রাস্তা দিয়ে চলবে গাড়ি। কোনও পথচারীকে রাস্তায় নামতে হবে না। স্কাইওয়াক বেয়ে এগিয়ে যাবেন তাঁরা। ৩৮০ মিটার লম্বা আকাশপথ। ১০.৫ মিটার চওড়া। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে শুরু করে মন্দিরের সিংহদুয়ারের আগে পর্যন্ত যাবে এই স্কাইওয়াক। ১২টা চলন্ত সিঁড়ি, ৪টি লিফট, ৮টি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করবেন পথচারীরা। ২০০টি দোকান থাকবে এই স্কাইওয়াকে।


মাঝে মাঝে থাকবে বসার জায়গা, ক্যাফে, ঝরনা। এ বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। তার মাঝেই বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচল দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। নকশায় ধরা পড়ল বড়সড় ভুল। পিলারের নকশায় গলদ সন্দেহ করেন মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী। রাজ্যকে জানান তিনি। পিলার পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা RITES-কে। পরীক্ষা করে পিলারের নকশায় কিছুটা রদবদল করে RITES। নতুন নকশায় পিলারগুলিকে আরও শক্তপোক্ত করে তৈরি করা হয়। এ বছরের মধ্যেই স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। আগামী বছরের প্রথমে কল্পতরু উত্সবের আগেই দর্শনার্থীদের জন্য স্কাইওয়াক খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্যের।