নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশীদের বয়ানে বেহালায় মহিলা খুনের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পর্দাফাঁস হল খুনির। প্রতিবেশী মহিলা জানিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে মেয়ে ও জামাই মিলেই করেছে খুন শম্পা চক্রবর্তীকে। তারপর দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে তারা। শেষে অসফল হয়ে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মেয়ে-জামাইকে আটক করেছে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে মৃতার স্বামীর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ওই প্রতিবেশী জানিয়েছেন, রাত ৩টে নাগাদ তিনি ও তাঁর স্বামী জোরে কিছু পড়ার আওয়াজ পান। আওয়াজ শুনেই ফ্ল্যাটের বারান্দায় বেরিয়ে আসেন তাঁরা। বাইরে বেরিয়ে আসতেই তাঁদের চোখে পড়ে ওই মহিলার মেয়ে-জামাইকে। তাঁরা দেখেন, ফ্ল্যাটের গ্যারেজ খোলার চেষ্টা করছে দুজনে। আর রাস্তায় পড়ে চাদরে জড়ানো একটা 'বোঁচকা'। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই দাঁড়িয়ে পড়ে দুজনে। চাদরে জড়ানো 'বোঁচকা'টা তখন সাইকেলে তোলার চেষ্টা করে জামাই। বেশ খানিকক্ষণ চেষ্টার পর সাইকেলের উপর 'বোঁচকা'টাকে তুলতে পারে দুজনে। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই উল্টে যায় সাইকেলটি। এরপরই সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় জামাই। তবে,  মহিলার মেয়ে তখনও রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। ফোন করতে দেখা যায় ওই যুবতীকে।


পড়শি ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের একদম উপরের তলায় থাকতেন শম্পা চক্রবর্তী।  কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ে হয়। বছর ২০-২২ বয়স মেয়ের। মাঝেসাঝে বাড়িতে আসত মেয়ে। তবে,পাড়ায় খুব বেশি মেলামেশা করত না কেউ-ই। ফলে পাড়ার কারোরই তাঁদের সঙ্গে সেরকম যোগ ছিল না। একপ্রকার এড়িয়েই চলত সবাই। এর আগেও চুরির দায়ে ধরা পড়েছে ওই যুবতী। এদিন সকাল হতে সামনে আসে মেয়ে-জামাইয়ের কুকীর্তি।


আরও পড়ুন, চায়নাটাউনে স্ত্রী-বাবাকে খুনে ধৃত ছেলেই, জোড়া হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে লুকিয়ে পরকীয়া


প্রসঙ্গত, এদিন সকালে বেহালার বকুলতলায় চাদর জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহ। দেহের পাশেই পড়েছিল ট্রলি ব্যাগ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পর্ণশ্রী থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, মৃতার গলায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা ধারালো অস্ত্রও। এই অস্ত্র দিয়েই শম্পা চক্রবর্তীকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ঘরের ভিতর রক্ত মোছার ছাপও স্পষ্ট।