মেয়েকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে এবার তদন্তে নামছে মহেশতলা থানা। বাবা, যিনি ফেশায় নামি চিকিত্‍সক এবং আলিপুরের নামি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, মারধর সহ মোট পাঁচটি ধারায় মামলা করছে পুলিস। আজ থানায় বাবার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেবে মেয়ে। আলিপুর আদালতে দেবে গোপন জবানবন্দি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাবার বিরুদ্ধেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন মেয়ে। সুবিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। পেশায় চিকিতসক বাবা আলিপুরের নামি বেসরকারি হাসপাতালে যুক্ত। বৃহস্পতিবার দিনভর চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি অভিযুক্ত চিকিতসক বাবার সঙ্গে। ঘরের মধ্যেই চলত যৌন নির্যাতন। দুই বোন। একজনের ক্লাস এইট, অন্যজন ইলেভেন। একদিন রাতে হঠাত্‍ ঘুম ভেঙে যায় ছোট মেয়ের। চোদ্দ বছর বয়সেই যৌন লালসার শিকার কিশোরী। বড় বোনকেও একই অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। অভিযোগ ছোট বোনের। সব বিশ্বাস ভেঙে চুরমার।


একদিন সব লজ্জা,অপমান ভেঙে মাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে দুই বোন। এরপর বাবার অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। শুরু হয় মারধর। তখন ২০১২ সালের এপ্রিল মাস। ছোট মেয়ের অভিযোগ, একদিন বাড়িতে হঠাত্‍  কিছু লোক ঢুকে পড়ে। জোর করে তাকে ও মাকে ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ঘুম ভাঙলে ছোট মেয়ে বুঝতে পারে সে বারুইপুরের একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি। মাকে ভর্তি করে দেওয়া হয় পাভলভ হোমে।  


এরপরেই লড়াইয়ের শুরু। বাবার লালসার হাত থেকে বাঁচতে বিশাখাপত্তনমে পাড়ি দেয় ছোট মেয়ে। উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া RESULT, জয়েন্টে ভাল RANK করে ডাক্তারি নিয়েই পড়াশুনা শুরু করেছেন ছোট মেয়ে। শহরে ফিরে কিছুদিন হস্টেলেই কাটছিল। বাবা দোষ স্বীকার করায় আবারও বাড়ি ফিরে আসে মেয়ে । আবারও সেই একই ভুল। আবারও সেই একই অভিজ্ঞতা। চলতি মাসের ৩ তারিখ মহেশতলা থানায় বাবার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন মেয়ে। বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযুক্ত চিকিতসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি আমরা। কাজ হয়নি। সারাদিন বন্ধ ছিল ফোন। ঘরের দরজায় ঝুলেছে তালা।