অয়ন ঘোষাল: চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতার নেতাজিনগর এলাকায়। খাস কলকাতার পুকুরে বাসছে মৃতদেহ। নেতাজিনগরের রানীদিঘি থেকে উদ্ধার হল বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির মৃতদেহ। সেটি তুলে ময়না তদন্ত পাঠিয়েছে পুলিস।  এনিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আছড়ে পড়বে ১৩০ কিলোমিটার বেগে, আতঙ্ক বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হল ঘূর্ণিঝড় মোকা-য়


বৃহস্পতিবার সকালে রানীদিঘিতে মৃতদেহটি ভাসতে দেখতে পান এলাকার মানুষজন। তারা খবর দেন পুলিসকে। পুলিস ডাকে ডিএমডিকে। দড়ি ফেলে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের সঙ্গে কোনও মানিব্যাগ বা মোবাইল ছিল না। ফলে পরিচয় জানতে বেগ পেতে হয় পুলিসকে। পরে জানা যায় মৃতের নাম জয়দীপ নন্দ। বাজারে তার প্রচুর দেনা হয়েগিয়েছিল। ফলে এই বিষয়টাই নজর কাড়ছে পুলিসের। আত্মহত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


গত ৯ ফেব্রুয়ারি হরিদেবপুর একট ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় জোড়া মৃতদেহ। ওইদিন সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় রবীন্দ্র কুমার চৌরাশিয়া(৪৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। তার পাশেই পড়ে ছিল সাগুপ্তা পারভিন(২৫) নামে এক মহিলার দেহ। রবীন্দ্র কুমার চৌরাশিয়া বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার আদর্শ নগরের বাসিন্দা। 


প্রাথমিক অনুমান ছিল একজন অন্যজনকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। এদিকে রবীন্দ্রের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর একটি সুইসাইড নোট। সেখানে রবীন্দ্র লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী বন্ধবী সাগুপ্তা পারভিন। সে তার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। পুলিশের অনুমান বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মহত্যা করেন পেশায় ইলেকট্রিক কন্ট্রাক্টর রবীন্দ্র চৌরাশিয়া।


রবীন্দ্রর বাড়ি বেহালার আদর্শ নগরে। হরিদেবপুরে তিনি থাকতেন অন্য একটি ফ্ল্য়াটে। বিবাহিত রবীন্দ্রের দুই সন্তান রয়েছে। তার মধ্যে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। হরিদেবপুরের চাঁদের ভিলেজ এলাকায় ৩ বছর আগে ফ্ল্যাট কেনেন। মাঝে মাঝে এসে থাকতেন। মাঝে মাঝে পারভিন এসে থাকত। আজ সকালে কাজের লোক দরজায় ধাক্কা দেয়। সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে দরজা ভাঙে। দেখা যায় ভিতরের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে রবীন্দ্র। বিছানায় শায়িত পারভিন। পারভিনের গলায় গাঢ় ফাঁস লাগানোর দাগ ছিল।


অন্যদিকে, গত ৩১ মার্চ লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় এক যুগলের দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়া মৃত প্রেমিক যুগলের নাম অসীম সরদার ও প্রেমিকা টুকটুকি সরদার। একই ওড়নার দুই প্রান্তে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তাঁরা। ওইদিন সকালে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় দু'জনকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। একই ওড়নার এক প্রান্তে প্রেমিক ও অপর প্রান্তে প্রেমিকাকে ঝুলতে দেখে এলাকার মানুষজন। এরপরই তাঁরা পুলিসে খবর দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি দুই পরিবার। সেই কারণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে দু'জন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)