Jadavpur University: অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের পরদিনই ইস্তফা যাদবপুরের ডিন অব সায়েন্সের
Jadavpur University: গতকালই আচার্য সি ভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছেন। তিনি আজ ক্য়াম্পাসে আসেন। তিনি অবশ্য মনে করেন ক্যাম্পাসে সিসিটিভির নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য ও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর তার পরই ইস্তফা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব সায়েন্স। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই এই ডিন অব সায়েন্স-ই সিদ্ধান্ত নেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আর মেইন হস্টেলে রাখা যাবে না। তাদের রাখতে হবে ক্যাম্পাসের মধ্যে অন্য হস্টেলে। গেটে নজরদারি রাখতে হবে ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা কোনওভাবেই হস্টেলে থাকতে পারবেন না। এনিয়ে নির্দেশিকাও জারি হয়। সেই ডিন অব সায়েন্স সহ উপাচার্যকে মেইল করে তাঁর পদে ইস্তফা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-চাঁদের সবচেয়ে কাছে বিক্রম, মাটি ছুঁয়ে ২৩-এই ইতিহাস ছোঁবে ভারত!
এদিকে, ডিন অব সায়েন্সের ইস্তফায় অনেক প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। যিনি প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সরিয়ে আমার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি কেন তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। অস্থায়ী উপাচার্য দায়িত্ব নিতে চলেছেন। তার আগেই ডিন অব সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তীর ইস্তফায় একটি কৌতুহল তৈরি হচ্ছে। সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে যে মেইল ডিন অব সায়েন্স পাঠিয়েছেন সেখানে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কী কারণে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। ব্যক্তিগত ইচ্ছেতেই তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, এমনটাই লেখা হয়েছে। তবে আচমকা ডিন অব স্টুডেন্টসের সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।
গতকালই আচার্য সি ভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছেন। তিনি আজ ক্য়াম্পাসে আসেন। তিনি অবশ্য মনে করেন ক্যাম্পাসে সিসিটিভির নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। তবে সিসিটিভি লাগানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না। বরঞ্চ তাঁর মত নজরদারিটা অন্য উপায়ে বাড়ানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গেটে নজরদারি-সহ অন্য অনেক জিনিস করা যেতে পারে। ইউজিসির গাইডলাইন্স অনুয়ায়ী সিসিটিভি লাগাতেই হবে। এনিয়ে বুদ্ধদেববাবু বলেন, সেরকম নিয়ম থাকলে তা করতেই হবে। অস্থায়ী উপাচার্য সিসিটিভি লাগানো নিয়ে তিনি ততটা জোর দিচ্ছেন না বরং গেটে নজরদারির পক্ষেই তিনি সওয়াল করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধে ইউজিসির যে গাইডলাইন তা দিনের পর দিন কড়া ভাবে লাগু হয়নি ক্যাম্পাসে। এমন অভিযোগ উঠছে। এনিয়ে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, একেবারেই গাইডলাইন পালন হয়নি একথা ঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় তা পালন হয়নি। সেটা দেখতে হবে। এখানে অনেকরকম সমস্যা রয়েছে। কিছুটা হয়তো ইন্টারন্যাল বাধা থাকতে পারে। সেই বাধার মধ্য়ে সারবত্তা রয়েছে কিনা তাও দেখতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাইরে থেকে যারা ক্যাম্পাসে আসছে তাদের আটকাতে হবে। একটা সময় ছিল যখন এখানে পাঁচিলই ছিল না। তার পর পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। এখানকার পড়শোনার পরিবেশ ঠিক রাখাটাই আমাদের লক্ষ্য। তার জন্য যেটুকু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রয়োজন সেটাই করতে হবে। অকারণে নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এই মুহূর্তে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে তা হয়তো জোরদার করতে হতে পারে।