কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ঠেকাতে হাত মিলিয়েছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস। এমন 'হাঁসজারু' জোটের একটাই সমীকরণ, শত্রুর শত্রুর বন্ধু। তেমনই একটা নয়া সমীকরণের আভাস মিল বিধানসভায়। সংবিধান দিবস উদযাপনের ব্যস্ততার ফাঁকেই বিধানসভার লবিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর দুলাল দাসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা গেল দেবশ্রী রায়কে। পরে জানালেন, শোভনের স্ত্রী রত্নার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান।     


বিধানসভায় উদযাপিত হচ্ছে সংবিধান দিবস। তার ফাঁকে দুলাল দাসের সঙ্গে কথা বললেন দেবশ্রী রায়। দুলাল দাস মহেশতলার তৃণমূল বিধায়ক। তবে তাঁর আরও একটা পরিচিতি রয়েছে। তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর, অর্থাত্ রত্নাদেবীর বাবা। বলে রাখি, এককালে শোভনের বন্ধু ছিলেন দেবশ্রী রায়। পরে তাল কাটে। চলতি বছর ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দেবশ্রীর গেরুয়া শিবিরে যোগদানে বাধা হয়ে দাঁড়ান শোভনবাবু। সেদিন দিল্লির অফিসে চলে গিয়েছিলেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক। তবে প্রাক্তন মেয়রের আপত্তিতে আর বিজেপিতে যোগদান করা হয়ে ওঠেনি দেবশ্রীর।          



এরপর দেবশ্রীকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্বের সূত্রপাত। দেবশ্রীকে দলে নিতে আগ্রহ দেখান বিজেপি নেতারা। কিন্তু বেঁকে বসেন শোভন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেবশ্রীকে নিলে তাঁর পক্ষে বিজেপিতে থাকা সম্ভব নয়। দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে আলোচনার পরও মেটেনি বিষয়টি। বরং বিজেপি-শোভন দূরত্ব আরও বেড়েছে। ভাইফোঁটায় মমতা 'দিদি'র কালীঘাটের বাড়িতেও চলে যান শোভন-বৈশাখী। এদিকে আবার যাকে নিয়ে এত কাণ্ড  সেই দেবশ্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। স্বাভাবিকভাবে দুলাল-দেবশ্রীর আলোচনা ঘিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।                


তবে কি এবার ভুল বোঝাবুঝির মিটিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়াতে দুলালবাবুকে সঙ্গে নিচ্ছেন দেবশ্রী? প্রশ্ন করাতেই বিষয়টি ভাঙলেন রায়দিঘির বিধায়ক। নিজেই বললেন,''রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই। কিন্তু ফোনে পাচ্ছি না।'' দুলালবাবু তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, রত্নাদেবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেবেন। কিন্তু রত্নার সঙ্গে কেন যোগাযোগ করতে চাইছেন দেবশ্রী রায়? রাজনীতিতে কাঁচা লোকও বলে দেবে, ব্যক্তিগত কারণে তো নয়ই!


আরও পড়ুন- বিধানসভায় 'মোহরা' ছবির জনপ্রিয় গানের লাইন মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, বাদ দিলেন স্পিকার