২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৭১টি বিধানসভা আসনে ১৫ হাজারের কম ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল। এবার এই আসনগুলি নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লড়াই যত হাড্ডাহাড্ডি হবে ততই কম হবে হার-জিতের ব্যবধান। আর নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই বলছেন এবার ফাইট নেক টু নেক। কারণ এবার জোট বেঁধেছে বাম-কংগ্রেস। ফলে, ২০১৪ যে সব বিধানসভা আসনে তৃণমূল কম ব্যবধানে এগিয়েছিল সেই আসনগুলির দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের ক্লোজ সিটগুলি--


কোচবিহার-উত্তর, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, চোপড়া, বালুরঘাট, সাগরদিঘি, চাপড়া, বসিরহাট-উত্তর, বাসন্তী, রায়দিঘি, বারুইপুর-পূর্ব, ডায়মন্ডহারবার, বজবজ,
মেটিয়াবুরুজ, চাঁপদানি, রঘুনাথপুর, গলসি, দুর্গাপুর-পূর্ব, তালড্যাংরা ও হাসন -

২০১৪ সালে এই ১৯টি বিধানসভা আসনে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার ব্যবধান ছিল পাঁচ হাজারের কম। এই ১৯টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে বাম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোট তৃণমূলের চেয়ে বেশি ছিল।


কালিয়াগঞ্জ, দিনহাটা, রাজগঞ্জ, মাল, কুশমুণ্ডি, কৃষ্ণনগর-দক্ষিণ, হরিণঘাটা,দমদম-উত্তর, জয়নগর, ফলতা, টালিগঞ্জ, মহেশতলা, কলকাতা বন্দর, রাসবিহারী, শ্যামপুকুর, পাণ্ডুয়া, মেমারি, দুর্গাপুর-পশ্চিম, ছাতনা, বড়জোড়া,দুবরাজপুর, রামপুরহাট ও পাণ্ডবেশ্বর। ২০১৪ সালে এই ২৩টি বিধানসভা আসনে পাঁচ থেকে দশ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।


এই ২৩টি আসনের মধ্যে এগারোটি আসনে বাম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোট তৃণমূলের চেয়ে বেশি ছিল।


এছাড়াও আরও ২৯টি আসনে ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল। সবমিলিয়ে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৭১টি বিধানসভা আসনে ঘাসফুলের এগিয়ে থাকার ব্যবধান ছিল বেশ কম। এই আসনগুলি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যুযুধান দু-পক্ষের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।