নিজস্ব প্রতিবেদন : পাঁচ ঘণ্টায় শহরের পাঁচ হাসপাতালে ঘুরল ডেঙ্গি আক্রান্ত মুমূর্ষু শিশু। অভিযোগ, প্রত্যেক জায়গা থেকেই কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। অবশেষে এসএসকেএমে ভর্তি নেওয়া হয় শিশুটিকে। এক সপ্তাহ যমে-মানুষে টানাটানির পর শনিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা ওই শিশুটির। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি শকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরচ্ছে। প্রবল শ্বাসকষ্ট। সেই পরিস্থিতিতে মহম্মদ আলি নামে ৭ বছরের ওই শিশুকে গত শনিবার নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চিকিত্সকদের কাছে। তিনি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। এরপরই মুমূর্ষু ওই শিশুকে নিয়ে শহরের বুকে তিনটে বেসরকারি ও দুটো সরকারি হাসপাতালে দৌড়ে বেড়ান বাড়ির লোক। অভিযোগ, প্রত্যেক জায়গা থেকেই কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। কোথাও বলা হয় আইসিসিইউতে বেড খালি নেই, কোথাও বলা হয় চিকিত্সক নেই।


আরও পড়ুন, পরিবারকে খুনের হুমকি দিত আফরাজুল, বদলা নিতেই খুন; দাবি শম্ভুলালের


পাঁচ ঘণ্টা ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, পার্ক সার্কাস ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ, পার্ক সার্কাস এম বি নার্সিং হোম, বালিগঞ্জ রিপোজ নার্সিংহোম ও হাজরার চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে ঘোরার পর শেষমেশ রাত ১০টা নাগাদ এসএসকেএমে ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুটিরকে ভর্তি করাতে সমর্থ হয় পরিবার। এসএসকেএম-এর পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। এক সপ্তাহ ধরে সেখানেই তার চিকিত্সা চলছিল।