২০১৫-র `বড় দুর্গা` থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নতুন উদ্যোগ দেশপ্রিয় পার্ক পুজো কমিটির
ইতিহাস থেকে শিক্ষা। এত্ত বড় সত্যির চাপে, গতবার পুরোপুরি মাটি হয়ে যায় দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গাপুজো। এবার সেখানে রয়েছে, হাজার হাতের হাতছানি। তাই আগাম সতর্ক পুজো উদ্যোক্তারা। ফাঁক রাখা হচ্ছে না পুলিসের তরফেও।
ওয়েব ডেস্ক : ইতিহাস থেকে শিক্ষা। এত্ত বড় সত্যির চাপে, গতবার পুরোপুরি মাটি হয়ে যায় দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গাপুজো। এবার সেখানে রয়েছে, হাজার হাতের হাতছানি। তাই আগাম সতর্ক পুজো উদ্যোক্তারা। ফাঁক রাখা হচ্ছে না পুলিসের তরফেও।
দেশপ্রিয় পার্ক ২০১৫
বড় দুর্গা। গতবছর যার ক্রেজে, ফিকে হয়ে যায় নামীদামী অনেক পুজোই। আলোচনার হট টপিক হয়ে দাঁড়ায়, দেশপ্রিয় পার্কের এই পুজো। পাড়ার রকে, চায়ের ঠেকে, সব আড্ডায় বড় দুর্গাই ছিল, বড় ফোকাস। কিন্তু এখানে ঢাকের বাদ্যি থেমে যায় পঞ্চমীতেই। ভিড়ের চাপ সামাল দিতে পারেনি পুলিস। হাত তুলে নেয় প্রশাসন। মুখ ঢাকে বড় দুর্গা। সেই আড়াল আর সরেনি।
দেশপ্রিয় পার্ক ২০১৬
হাজার হাত, হাজার অসুর
এবারও চড়ছে ক্রেজ। একেবারে হাজার হাতের ব্যাপারস্যাপার। থাকছে হাজার অসুরও। ট্রেনে-বাসে-মেট্রোয় শুরু হয়ে গিয়েছে গুঞ্জন। গতবারের মতো অভিজ্ঞতা আর যাতে না হয়, সেজন্য আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। ভিড় সামলাতে এবছর বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুলিস ঢোকার জন্য একটি গেট থাকলেও, বেরনোর জন্য তিনটি গেটের বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। ভিড় বেড়ে গেলে মণ্ডপে ঢোকার জন্য খুলে দেওয়া হবে অতিরিক্ত আরও একটি গেট। একই সঙ্গে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে একটি অতিরিক্ত এক্সিট গেটেরও। ভিড়ের চাপ দেখেশুনে প্রয়োজন মত অতিরিক্ত গেটগুলি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন পুজোর কর্মকর্তারা।
বড় দুর্গা দেখতে এসেও গতবার হতাশ হয়ে ফিরতে হয় বহু দর্শনার্থীকে। ঝলমলে তিলোত্তমায়, গোটা পুজোই অন্ধকারে ডুবে ছিল দেশপ্রিয় পার্ক। এবার সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ হাতে, ময়দানে মহাব্যস্ত পুজো উদ্যোক্তারা।