জামিন হলেও বাড়ি ফেরা হল না মদন মিত্রর!
আলিপুর জেল থেকে ভবানীপুর...দূরত্ব তা ভুল না করলে খুব বেশী নয়। তবুও আজ জামিন পাওয়ার পরও বাড়ি ফেরা হল না তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর। ২১ মাস জেলে থাকার পর আজ তাঁর জামিন গ্রাহ্য করে আলিপুর আদালত। সেই সঙ্গে আদালতে খারিজ হয়ে যায় CBI-এর প্রভাবশালী তত্ব।
ওয়েব ডেস্ক : আলিপুর জেল থেকে ভবানীপুর...দূরত্ব তা ভুল না করলে খুব বেশী নয়। তবুও আজ জামিন পাওয়ার পরও বাড়ি ফেরা হল না তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর। ২১ মাস জেলে থাকার পর আজ তাঁর জামিন গ্রাহ্য করে আলিপুর আদালত। সেই সঙ্গে আদালতে খারিজ হয়ে যায় CBI-এর প্রভাবশালী তত্ব।
আজ সকালে থেকেই আলিপুর আদালতে বাড়তি কোনও ব্যস্ততা ছিল না। ছিল না অনুগামীদের ঢল...বিকেলে বিচারক দু'পক্ষের আইনজীবীকে ডেকে পাঠান। জানিয়ে দেন তাঁর রায়। ব্যক্তিগত ৩০ লাখ টাকার বন্ডে মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুর হয়েছে আজ। তবে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে নিজের পাসপোর্ট পুলিসের কাছে জমা রাখতে হবে। যেতে পারবেন না ভবানীপুর এলাকার বাইরে। সপ্তাহে একদিন CBI-এর কাছে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
আরো পড়ুন- ৬৩৪ দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত 'প্রভাবহীন' মদন মিত্র
কী যুক্তিতে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করল আদালত?
বিচারক উত্তম কুমার নন্দী জানান, কেস ডায়রি খুঁটিয়ে দেখা গেছে ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫-র পর তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। ফেব্রুয়ারিতে শেষবার জামিনের আর্জি খারিজ হয়। তার পর থেকে অনেক বদলে গেছে পরিস্থিতি। মদন মিত্র জেলের বাইরে গিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করবে। শুধুমাত্র CBI-এর এই আশঙ্কায় আর মদন মিত্রকে আটকে রাখা যায় না। মদন মিত্ররও সুবিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
এদিকে, জামিন হলেও মদন মিত্রর বাড়ি ফেরা নিয়ে তৈরি হল সংশয়। আলিপুর আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ভবানীপুর থানা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না মদন। আর এই নির্দেশেই ঘটেছে বিপত্তি। কারণ মদন মিত্রর বাড়ি কালীঘাট থানা এলাকায়। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। ভবানীপুরের নেতা মদন মিত্রর বাড়ি ভবানীপুরেই হবে, এমনটা ভেবেই হয়েত এই রায় দেওয়া হয়েছিল। রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়ে আদালতে যাচ্ছেন মদন মিত্রর আইনজীবীরা। তবে, পরিস্থিতি যা তাতে তিনি আগামী সোম বা মঙ্গলবারের আগে বাড়ি ফিরতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।