Topsia Fire: তপসিয়ার কারখানায় ভয়ংকর আগুন, জীবন্ত দগ্ধ বাবা-ছেলে
Topsia Fire: রং করার কারখানার আগুনে জীবন্ত দগ্ধ বাবা ও ছেলে। কীভাবে আগুন তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারণ কারখানার ভেতরে ছিল প্রচুর দাহ্য পদার্থ
অয়ন ঘোষাল: সাতসকালে আগুন লেগে গেল তপসিয়ার একটি কারখানায়। বিধ্বংসী সেই আগুন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। অন্য আরও একজন গুরুতর আহত। বৃহস্পতিবার পৌনে সাতটা নাগাদ আগুন লাগে তপসিয়া ফাস্ট লেনের একটি কারখানায়।
আরও পড়ুন-বড় কাছারি মন্দির দর্শন করে আর ফেরা হল না, মর্মান্তিক পরিণতি সরশুনার ২ তরুণের
তপসিয়া ফাস্ট লেনে বসতবাড়ি ও ছোটা ছোট কারখানা লাগালাগি। কোথাও ওয়ালেট তৈরির কারখানা তো কোথাও অন্যকিছু। রোজ চলছে। ভোরে সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সবাই। তার মধ্যেই এক প্রতিবেশী আগুন দেখতে পান। তারাই প্রথম আগুন দেখতে পান। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে ভেতরের লোকজনবকে তারা উদ্ধার করেত পারেননি। পরে পুলিস ও দমকল এসে শার্টার ভেঙে ভেতরে আটকে নাসিম আখতার ও আমিরকে উদ্ধার করে। ততক্ষণ তাদের দেহ অনেকটা পুড়ে গিয়েছে।
হাসপাতালে নিয়ে গেল মহম্মদ নাসিম আখতার(৫০) ও মহমম্দ আমিরকে(২৭) মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। এই দু'জন বাবা ও ছেলে। নাসিমের আর এক ছেলে মহম্মদ জাসিমের শরীরের একটি বড় অংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি কোনওরকমে বাইরে বেরিয়ে আসেন।জানা যাচ্ছে রং করার কাঁচা মাল মজুত ছিল কারখানাটিতে। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দমকলের তরফে ডিভিশনাল অফিসার সুদীপ্ত বীট বলেন, স্ক্রিন প্রিন্টিং বা ওইরকম কিছু কাজ চলত বলে জানতে পেরেছি। দুটো পোড়া বডি উদ্ধার হয়েছে। গলি পেয়িয়ে অনেকটাই আসতে হয়েছে। তারপর পাইপ দিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। মিনিট পাঁয়তাল্লিশের মধ্য়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
দেখে নিন সাম্প্রতিক অতীতে অগ্নদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা
(১) ২০২২ সালের ২২ জনুয়ারি = নেতাজিনগর থানা এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনির থিম পার্ক এর একটি বাড়িতে আগুন লেগে গিয়ে পুড়ে মৃত্যু হয় "বকুল অধিকারী" নামে বছর ৭২ এর এক বৃদ্ধার।
(২) ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি = লেক থানা এলাকার ঢাকুরিয়া স্টেশন সংলগ্ন রোডে একটি বাড়িতে আগুন লেগে গিয়ে পুড়ে মৃত্যু হয় "সৌম্য সেনগুপ্ত" নামে বছর ৪৮ এর এক ব্যাক্তির। প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যাক্তি র মা।
(৩) ২০২২ সালের ১২ মার্চ = নিউমার্কেট থানা এলাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রীটের একটি গেষ্ট হাউস এ আগুন লেগে মৃত্যু হয় "সামিমাতুল আরস" নামে বছর ৬০এর এক বাংলাদেশ নাগরিক মহিলার।
গুরুতর জখম হন "মেহেবুব আলম" নামে বছর ৪২এর অপর এক বাংলাদেশের নাগরিক।
(৪) ২০২২ সালের ২ এপ্রিল = তিলজলার সি এন রায় রোডে র একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে গিয়ে পুড়ে মৃত্যু হয় "পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়" নামে বছর ৬৯ এর এক বৃদ্ধার।
(৫) ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল = গরফা থানা এলাকার সেন গার্ডেন রোডের একটি বাড়িতে আগুন লেগে গিয়ে পুড়ে মৃত্যু হয় পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক "কমল চন্দ্র সেন" নামে বছর ৬৭র এক পৌঢ় র।
(৬) ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর = রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুটিয়ারীর বাগান পাড়ায় একটি বাড়িতে আগুন লেগে গিয়ে পুড়ে মৃত্যু হয় "কনক গোমস" নামে বছর ৮০' র এক বৃদ্ধার।
(৭) ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর = নারকেলডাঙা থানা এলাকার নারকেলডাঙা রেল সেতুর কাছে একটি দোকানে আগুন লেগে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হয় "পিন্টু রায়" নামে বছর ২৮ এর এক যুবকের।
এরপর
২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল = আবার শহরে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হল।