নিজস্ব প্রতিবেদন: নাড্ডা-কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, দিল্লিতে যাচ্ছেন না ডিজি ও মুখ্যসচিব। প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রের তরফে ডিজি ও মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যসচিবের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি দীর্ঘ চিঠিতে রাজ্য সরকার জে পি নাড্ডার সফরে তাদের দায়িত্ব, ভূমিকা ও হামলা-পরবর্তী তদন্তমূলক কাজকর্মের বিস্তারিত খতিয়ান ব্যাখ্যা করেছে। এবং চিঠির একেবারে শেষে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, ফলে মিটিংয়ে 'স্টেট অফিসিয়ালস'দের নিয়ে কেন্দ্রের বসাটা এই মুহূর্তে নিষ্প্রয়োজন।
 
নাড্ডার দু'দিনের রাজ্যসফরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রাজ্য। ওঠে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ। তাঁর কনভয়ে হামলাও ঘটে। এই সূত্রে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নাড্ডার সফরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরব হয়। গতকাল, বৃহস্পতিবারই নাড্ডার নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরকে চিঠি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই চিঠির সূত্রেই রাজ্যের কাছে কার্যত কৈফিয়ত চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


আলোচ্য চিঠিটিতে নিজেদের অবস্থান অত্যন্ত ষ্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানিয়েছে, নাড্ডার সফরকালীন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের খুঁটিনাটির দিকে খেয়াল রেখেছে তারা। নাড্ডার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের তরফে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। ডিআইজি (পুলিস) তো নিজে ছিলেনই; এ ছাড়াও ৪ জন অতিরিক্ত এসপি, ৮ জন ডিএসপি, ১৪ জন ইনস্পেক্টর, এসআই ও এএসআই মিলিয়ে ৭০ জন, ৪০ জন RAF, ২৫৯ জন কনস্টেবল এবং আরও ৩৫০ জন অতিরিক্ত ফোর্স রাখা হয়েছিল। তবে এখানে স্পষ্ট  করে নবান্ন নর্থব্লককে জানিয়ে দিয়েছে, সাধারণত এই ধরনের কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা কম থাকে বলে তার নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে অসুবিধা হয় না, কিন্তু এ ক্ষেত্রে কনভয়ে বেশি গাড়ির উপস্থিতি পরিস্থিতি কঠিন করে দিয়েছিল। ত সত্ত্বেও রাজ্য হামলার অভিযোগ পেয়ে তিনটি মামলা করেছে। ভাঙচুরের অপরাধে দু'টি, যার একটি উস্তি থানায় অন্যটি ফলতা থানায়; যার জেরে ৭ জন ইতিমধ্যেই ধৃতও। 



নাড্ডার নিরাপত্তায় নিজেদের ভূমিকা ও হামলা-পরবর্তী নিজেদের সক্রিয় অবস্থানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আর এই মুহূর্তে দিল্লিতে বৈঠকে বসার কোনও প্রয়োজন তারা অনুভব করছে না।



প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ডিজি ভূপিন্দর সিং আগেই জানিয়েছেন, তাঁর সময়ে এমন ঘটেনি। দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়নি। সিপিআইএম ও তৃণমূলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্ট চেয়েছে। তখন বিশদে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।


এই প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যও। ফিরহাদ শুক্রবার সকালেই বলেছিলেন, 'দিল্লি ডাকুক। রাজ্যপাল ডাকুন বা প্রধানমন্ত্রী ডাকুন, তাতে কিছু এসে যায় না। মানুষই শেষ কথা বলবে'। 


এই প্রেক্ষিতে চিঠি দিয়ে না যাওয়ার কথা জানানোর ঘটনাটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। 


ALSO READ: সরকার মিথ্যে কথা বলছে: নাড্ডা-কাণ্ডে রাজ্যকে তোপ মুকুলের