স্পাইসজেট কর্মীর `অস্বাভাবিক` মৃত্যুতে গাফিলতি প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ডিজিসিএ-র
যেখান থেকে বিমানের চাকা উড়ানের পর ঢুকে যায় বা অবতরণের সময় যে দরজা খুলে চাকা বেরিয়ে আসে, সেটাই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা বিমানবন্দরে স্পাইসজেট কর্মীর মৃত্যুর বিস্তারিত তদন্ত করবে ডিজিসিএ। গাফিলতি প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। জানিয়ে দিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
বুধবার বিমান পরীক্ষা করার সময় আচমকাই হাইড্রলিক দরজায় মাথা আটকে যায় স্পাইসজেটের টেকনিশিয়ান বছর ছাব্বিশের রোহিত বীরেন্দ্র পান্ডের। দীর্ঘক্ষণ ওই অবস্থায় আটকে থাকেন তিনি। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। যেখান থেকে বিমানের চাকা উড়ানের পর ঢুকে যায় বা অবতরণের সময় যে দরজা খুলে চাকা বেরিয়ে আসে, সেটাই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা। সেখানেই আটকে যায় বীরেন্দ্র পান্ডে।
বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে কলকাতার নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বৃষ্টি বা মেঘলা আবহাওয়ার কারণে যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ডিজিসিএ-এর নির্দেশে সব বিমান সংস্থাগুলিই মঙ্গলবার থেকে বিমানের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখতে শুরু করে।
সেই কারণেই স্পাইসজেট বিমান বোয়িং ৭৩৭-এর প্রধান ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন টেকনিশিয়ান রোহিত পান্ডে। তখনই ঘটে বিপত্তি। পরে দমকল কর্মীদের সহায়তায় স্পাইসজেটের ওই টেকনিশিয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।