নিজস্ব প্রতিবেদন : এ কি নতুন নিয়মের গেরো? নাকি হাসপাতালের ভুল ডিসচার্জ রিপোর্ট? কী? যার জন্য এমন বিভ্রান্তি? কিডনির অসুখে ভোগা 'করোনা আক্রান্ত' এক রোগীকে নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনায় সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুটি কিডনি-ই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই ডায়ালিসিস চলছিল। এরমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হন। এরপর সেই রোগীকে ২২ দিন চিকিৎসা করে বাড়ি পাঠিয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। কিন্তু ডিসচার্জ পেপারে কোথাও লেখা হয়নি যে ওই রোগী করোনামুক্ত হয়েছেন। অভিযোগ, বাড়ি ফিরেই ফের শ্বাসকষ্ট  শুরু হয় তাঁর।


এরপর ওই রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা বলেন, তিনি তখনও করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। তখনও করোনামুক্ত হননি তিনি। তাই তাঁকে ফের পাঠানো হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু নতুন করে রিপোর্ট না আসায় এখনও ডায়ালিসিস শুরু হয়নি।


এদিকে এই মুহূর্তে রোগীর শারীরিক যা পরিস্থিতি, তাতে তাঁর সপ্তাহে ৩ দিন করে ডায়ালিসিসের প্রয়োজন। পরিবারের অভিযোগ, এই মুহূর্তে মরণাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের বেডে পড়ে রয়েছেন রোগী। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছে তাঁকে। "সম্পূর্ণ করোনামুক্ত না করে কেন তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল? আর যদি করোনামুক্ত হওয়ার পরই ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে কেন ডিসচার্জ পেপারে লিখে দেওয়া হয়নি যে তিনি করোনামুক্ত?" প্রশ্ন তুলেছে অসহায় পরিবার।


এই ঘটনায় সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "কেন রিপোর্ট না লিখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, খোঁজ নিচ্ছি। নির্দেশ দিচ্ছি ডায়ালিসিসের। কোনও সমস্যা হবে না। আজই হবে।"


আরও পড়ুন, 


কলকাতা মেডিকেলে করোনা রোগীর মৃত্যুর পর পেট থেকে উধাও মৃতের দামি মোবাইল!