এনসিসি-কে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করছে রাজ্য? তুঙ্গে বিতর্ক
এনসিসি ক্যাডেট যারা বি ও সি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসবে, তাদের মধ্যে যারা ভালো স্কোর করবে, সেটা তাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগদানে সুবিধা করবে।
সুতপা সেন: এনসিসি-কে আর্থিক সাহায্য দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনসিসি-র কম্যান্ডিং অফিসারের। এই মর্মে এনসিসি-র ডিডিকে চিঠিও দিয়েছেন এনসিসি-র মেজর জেনারেল ইউ সেনগুপ্ত। চিঠিতে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, এরফলে রাজ্যে এনসিসি প্রশিক্ষণ স্থগিত রাখার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও এনসিসি-কে ফান্ডিং বন্ধ করার কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের স্পষ্ট বক্তব্য, কোনও ফান্ড বন্ধ করা হয়নি। পুজো ও অন্যান্য উৎসবের কারণে ফান্ড রিলিজ করতে দেরি হয়েছে। ২১ অক্টোবর ফান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনসিসি-র মেজর জেনারেল ইউ সেনগুপ্ত ফান্ড বন্ধ নিয়ে চিঠিতে লেখেন, বাংলায় ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস সমস্যার মধ্যে পড়েছে। যেহেতু রাজ্য সরকার বরাদ্দ অর্থ দেয়নি। এটা একটা খুব গুরুতর সমস্যা। এনসিসি ক্যাডেট যারা বি ও সি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসবে, তাদের মধ্যে যারা ভালো স্কোর করবে, সেটা তাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগদানে সুবিধা করবে। বি ও সি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় যারা হাই স্কোর করবে এবং যারা ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক হবে, তাদের আর সিডিএস পরীক্ষায় বসার প্রয়োজনীয়তা নেই। তারা সরাসরি সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি-র ইন্টারভিউতে বসতে পারবে। এটা একটা বিরাট বড় সুবিধা। কিন্তু এখন রাজ্য সরকার ফান্ড বন্ধ করে দিলে বাংলায় এনসিসি প্রশিক্ষণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, ফান্ড বন্ধের খবর ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। ফান্ড বন্ধের কোনও ব্যাপারই নেই, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি ২১ অক্টোবর ফান্ড রিলিজ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এদিকে এই ঘটনায় টুইটে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা সরকার এনসিসি ক্যাডেটদের বি ও সি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে ফান্ড রিলিজে অস্বীকার করেছে। যেখানে তাঁর ফান্ডের কোনও অভাব নেই। আসলে রাজ্যের যুবদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা বা চিন্তাভাবনা-ই নেই।