২০১৬-র বিধানসভা ভোটে কি মমতা-রূপা টক্কর? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন রূপা গাঙ্গুলি। প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, আগামী বিধানসভা ভোটে দিদি বনাম দ্রৌপদীর লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতেই পারে বাংলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বিধানসভা ভোটের স্ট্রাটেজি ঠিক করতে চিন্তন বৈঠকে বসছে পদ্ম শিবির। দলে যোগ দিয়েই টি টুয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং। পাড়ুই থেকে পাঁশকুড়া। হাওড়া থেকে হাবড়া। সংঘর্ষ, নির্যাতন কিংবা দুর্যোগ। খবর পেলেই হাজির রূপা গাঙ্গুলি। সংবাদমাধ্যমের ফোকাসে অভিনেত্রী টার্নড নেত্রী। দলের নীচুতলার কর্মীদের সমর্থন, পাশে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। তাই রাজ্য নেতৃত্বের  অপছন্দকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে এবার রূপাই সম্ভবত মমতার চ্যালেঞ্জার।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন রূপা। প্রাথমিক সম্মতিও হাতের মুঠোয়। ২০১৬-য় সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদ্মশিবিরের তুরুপের তাস রূপা গাঙ্গুলিই। শুধু মমতার চ্যালেঞ্জা নয়। ২০১৬-র ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির। ৯-১০ তারিখ রায়চকের রাডিসন ফোর্টে বসছে দলের চিন্তন বৈঠক।ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য বিজেপির ৪০জন নেতা নেত্রীকে।  ডাক পেয়েছেন, রূপা গাঙ্গুলি, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শিশির বাজোরিয়া, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো দলের নতুন মুখরা। তবে, রাজ্য কমিটির সব নেতাকে ডাকা হয়নি।


সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি
--------------


২০১৬ বিধানসভা ভোটে দলের কর্মসূচি ও স্ট্রাটেজি


রাহুল সিনহার পর রাজ্যে দলের নতুন কাণ্ডারি কে?


রাজ্য কমিটির আরও কয়েকটি পদের পরিবর্তন


বেশকয়েকটি জেলার  সভাপতি বদল


সারদা ও অন্যান্য চিটফান্ড মামলাগুলি নিয়ে দলের স্ট্রাটেজি


চিন্তন বৈঠক ঘিরে চরম গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে। মোবাইল ফোনের ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে, মোদী-মমতা বোঝাপড়া নিয়ে জল্পনা চললেও,আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অল আউট ঝাঁপাতে চলেছে বিজেপি। চিন্তন বৈঠক থেকে রাজ্য নেতাদের সেই বার্তাই দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।