নিজস্ব প্রতিবেদন: রূপসি, চিকু ও পমপম- আপাত নিরীহ এই নামগুলিই অনলাইনে মাদক কেনাবেচায় কোড হিসেবে ব্যবহার করত কারবারিরা। বিভিন্ন ধরনের মাদকের রয়েছে আলাদা আলাদা কোড নাম। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মোবাইলে ফোনের কথোপকথন বা হোয়াটস অ্যাপে কোড নামে মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা চালায় তরুণ প্রজন্ম। অনলাইনেই মাদকের অর্ডার নেওয়া হত। এজন্য ওয়েবসাইটও খুলেছিল মাদক কারবারিরা। এই ওয়েবসাইটের প্রায়ই বদল হত। ডার্ক ওয়েবে লেনদেনের ফলে পাচারকারী বা ক্রেতাদের চিহ্নিত করা কঠিন। এই অবস্থায় কারবারের পাণ্ডাদের চিহ্নিত করাই এনসিবি-র কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে যেভাবে মাদকজাল ছড়িয়েছে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে প্রশাসন তাদের কাজ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বিভিন্ন কলেজে এবার থেকে মাদক বিরোধী সচেতনতা প্রচার করবে এনসিবি। আগামী বছর থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হবে। শহরের নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছে এনসিবি। মাদক জালে শহরের নামজাদা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট কলেজের পড়ুয়ারা। তারপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে বৈঠক করল এনসিবি।


আরও পড়ুন- জাতের নামে বজ্জাতি, একঘরে ভালবাসা


সামনে ক্রিসমাস-নিউইয়ার। উত্‍সবের মরসুমে শহরের বার-নাইটক্লাবগুলোয় মাদকের কারবার নিয়ে বাড়তি সতর্ক এনসিবি। আজ আবগারি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিবি আধিকারিকরা। বছর শেষে উত্‍সবের দিনগুলিতে কলকাতা ও শহরতলির হোটেল, বার এবং নাইটক্লাবগুলিতে আবগারি দফতরকে নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহযোগিতার জন্য কলকাতা পুলিসকেও বলা হয়েছে। শহরজুড়ে যেভাবে মাদকজাল বিস্তার করেছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে।