নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, আমরা মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংবাদ সূত্রে খবর, একটি সভার বাইরে বিজেপি কর্মীরা দিলীপকে প্রশ্ন করেন, আর কত মার খাব? তাতে দিলীপ নাকি বলেন, 'মার খেতে হবে, তার পরে মার দেব। সাফল্যের কাছাকাছি চলে এসেছি। আর ৫/৬ মাস।' তৃণমূল দলের প্রসঙ্গে বলেন, ওখানে 'পার্টি চলছে না, প্রপার্টি (চলছে)। কালীঘাটের ১ ঠিকানায় ২৩ কোম্পানি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ, রবিবার কলকাতার বিজেপি পার্টি অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে সাম্প্রতিক রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কথাপ্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'ডিসেম্বর মাস এই রাজ্য-রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়।' তিনি বলেন, সামনেই বড় নির্বাচনী লড়াই। সেই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে অনেক নেতৃত্বই বাংলায় আসবেন। তবে বাংলার রাজনীতি একটু আলাদা। এখানে কেউ এলেই যে সফল হবেন, এমন নয়। প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 


এর পরই খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার ফিরহাদ হাকিম আলুর দাম নিয়ে কথা বলেছিলেন। অনেক তাঁকে জাবাব দেওয়ার ভঙ্গিতেই দিলীপ আলুর দামের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'কয়লা এবং গরু থেকে তো (তৃণমূলের) টাকা ইনকাম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই আলুর দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কেটে নির্বাচনী টাকা তুলছে তারা।' বলে দেন, তৃণমূলে এখন গৃহযুদ্ধের আবহ, তৃণমূলের ঘর ভাঙছে। আর আমরা মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।



গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতে সরকারি কর্মচারী পরিষদের এক সভায় যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি তৃণমূলকে আরও এক দফা আক্রমণ করে বলেন, 'জঙ্গলমহলের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল।' বলেছেন, তৃণমূলে এ বার 'পিকে হঠাও, তৃণমূল বাঁচাও স্লোগান উঠতে পারে'। 


অভিষেক ব্যানার্জী ইতিমধ্যে তাঁর সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন বিজেপি তাঁর নাম নিতে ভয় পাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'ভাইপো বলায় যখন বোঝা যাচ্ছে, তখন নাম বলার কী দরকার রয়েছে? এফআইআর করার কথা কেন বলছে! আমরা তো এফআইআর-এর কথা বলিনি! তা হলে এফআইআর-এর ভয় কেন?' বলেন, 'সিবিআই, এনআইএ, ইডি আছে। এখানে নয়, যেতে হবে ভুবনেশ্বর।' বলেন, 'আমরা তো বলেছিলাম-- লাল ডায়েরি পেলে দিদি যাবে জেলে। অনেক মাথাকেই ঢুকতে হবে। ডকুমেন্ট রয়েছে আমাদের কাছে।'


আরও পড়ুন:  ভাইপো কেন? আমার নাম নিয়ে বলার বুকের পাটা নেই প্রধানমন্ত্রীরও: অভিষেক