নিজস্ব প্রতিবেদন:  নানুরে নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে টানাপোড়েনের ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক টুইট বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



দিলীপ ঘোষ টুইটে বলেন, “আমাদের প্রিয় কর্মী স্বরূপ গড়াই খুনের পর তাঁর দেহ নিয়ে পুলিস যা ভূমিকা পালন করল, তা রীতিমতো আতঙ্কজনক। পুলিসের ব্যবহার ও আচরণ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অথচ যখন আমাদেরই কর্মীরা খুন হয়ে যান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, তখন এই পুলিস তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তখন পুলিস নিস্পৃহ।”


]



তিনি আরও বলেন, কীভাবে পুলিস প্রশাসনের সাহস হয়, আপনজনহারা এক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এইভাবে দুব্যর্বহার করতে! তাঁরা সদ্য তাঁদের নিজের লোক হারিয়েছেন, অথচ তাঁদেরকেই পুলিসের কাছে নানাভাবে অপমানিত হতে হয়েছে। পুলিসের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।


 



“আমাদের নিহত দলীয় কর্মীর দেহ রাজ্য সদর দফতরে নিয়ে যাওয়ার অধিকার রয়েছে আমাদের। সেখানে আমরা তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করতাম। কেন পুলিস তাতে বাধা দিল? সন্দেশখালিতে গণহত্যার সময়েও একই ঘটনা ঘটেছিল।” টুইটে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ।


 


রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি।


দু'দিনের টালবাহানার পর অবশেষে বিজেপি কর্মীর দেহ হাতে পেল পরিবার


প্রসঙ্গত, নানুরে বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টানা দুদিন ধরে টানাপোড়েন চলে পুলিসের। পরিবার দাবি করেছিল, দেহ নিয়ে রাজ্য সদর দফতরে যাবে, তারপর বাড়ি নিয়ে যাবে। কিন্তু পুলিস রাতের অন্ধকারেই দেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এরপর নিহতের বাড়ির দেওয়ালে গিয়ে নোটিস লাগিয়ে আসে যে পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করায়, তা মর্গেই রাখা রয়েছে।


মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর। স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ-অবরোধ চলল দিনভর। বিকেলে আত্মীয় পরিজনরা দেহ নিতে বোলপুর হাসপাতালে পৌছলে, শর্ত চাপায় পুলিস। আর তাতেই বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। টায়ার জ্বালিয়ে-পথ অবরোধে শুরু হয়।  উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাত সাড়ে ১১টায় বিজেপি দেহ হাতে পায় পরিবার। তা বরফ দিয়ে রাখা হবে। বুধবার সকালে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।