নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঙালি নেতা নেই বিজেপিতে। অবাঙালিরাই দল চালাচ্ছে। এটা কি বাঙালিরা মেনে নেবে? 'বহিরাগত' তকমা সেঁটে রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে কোণাঠাসা করার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। শনিবার বহিরাগত খোঁচায় গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করলেন, নিম্নরুচির রাজনীতি করছে তৃণমূল। বাংলার বাইরে থাকা বাঙালিদের বিপদে ফেলছে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''বেশ কিছুদিন ধরে হাওয়া উঠছে, বাইরের লোক, বাইরের লোক। স্বাধীনতা আন্দোলনের গল্প মনে করিয়েছেন একজন মন্ত্রী। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা শুধু রাজ্যের হয়ে লড়েননি। তাঁরা গোটা ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। বাইরের লোক করে যাচ্ছে। বাইরের লোকের গল্প দিয়ে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বাইরের লোককে ভয় পাই না। বাইরের লোক এসে পার্টির নেতৃত্ব ঠিক করছে। ওঁর দলের লোকেরাই বলছেন, দল চালাচ্ছে বাইরের লোক। কেডি সিং তো অসমের লোক। ইমরান হাসান সিমির প্রতিষ্ঠাতা, তিনি বাংলাদেশি। এ রাজ্য থেকে নেতা যাচ্ছেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। অথচ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাইরের লোক!'' 


দিলীপবাবু আরও বলেন,''পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু লোক বাইরে কাজ করেন। অথচ বাইরের লোক বলে অন্য লোককে আটকানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সমস্ত বাঙালিকে যদি বাইরের লোক বলে অন্য রাজগুলি ফেরত পাঠায়, দিদিমণি কি চাকরি দেবেন!  রাম হয়ে গেলেন বাইরের। কালি এখানকার। উনি ধরেই নিয়েছেন, এটা পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে। বাঙালিকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। ভেবেচিন্তে কথা বলুন।''


উল্লেখ্য, এ দিন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন,''যে কয়েকজন বাঙালি নেতা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা আছেন, তাঁদের উপরে মনে হচ্ছে না ভরসা আছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সে জন্য নেতা আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে নেতারা আসছেন। বাঙালির উপরে আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। বাঙালির মাথার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি।''


 


আরও পড়ুন- শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ, সাহসিকতায় নেতাজি, প্রশাসনে মমতা: কাকলি