Dilip Ghosh: ’সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে, কখন কি বলতে হয় জানেন না`, তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
তিনি বলেন, ’সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে তো, কখন কি বলতে হয় জানেন না। উনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন কিনা জানিনা। ওনাদের পার্টি ছিল সেই সময় কি ছিল জানে না সবাই। সেই জন্য এই ধরনের ঘটনা মানুষের হাতে নেই। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনা। আধুনিক ব্যবস্থা হওয়াতে অনেক দুর্ঘটনা কমেছে। ট্রেনে প্রতি মাসে তখন বড় বড় ঘটনা ঘটতো, এখন কমেছে। আরও কমবে। এখন সবার মানসিক স্থিরতা রাখা উচিত। অনেকেই মানসিকতা হারিয়ে ফেলে উল্টোপাল্টা কমেন্ট করে’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিদিনের মতন শনিবার সকালেও নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ করে বেরিয়ে তিনি একাধিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
করোমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেছে। বহুদিন পরে এরকম হলো। আধুনিক ব্যবস্থা আসার পর হয়নি। দুটো ট্রেনে প্রায় চার হাজার লোক। কতজনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুমরে মুচড়ে গেলে সেখান থেকে বার করাও মুশকিল। সময় লাগে। আর এমন জায়গায় হয়েছে গ্রামীন এলাকায় যাওয়ার রাস্তা নেই, কাছাকাছি আলো নেই। ফলে সন্ধ্যার পরে হওয়ায় উদ্ধার কাজে খুবই অসুবিধা হয়েছে। স্থানীয়রা এসে তাদের সহযোগিতা করেছেন। এই ধরনের অ্যাক্সিডেন্টে উন্নত প্রযুক্তি এবং আধুনিক ব্যবস্থা দরকার না হলে জীবনহানি অনেক হয়ে যায়। সবাই মিলে চেষ্টা করছে আমরা খড়গপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছি আমাদের লোকেরা গিয়েছেন। আমরাও চেষ্টা করছি রাজ্য সরকারের চেষ্টা করছেন। সবারই করা উচিত যতটা সম্ভব প্রাণ বাঁচানো এবং কষ্ট যাতে কম হয় মানুষের। যাদের আত্মীয়-স্বজনেরা ট্রেনে ছিলেন তারা খুব উৎকন্ঠায় আছেন। তাদেরকে ঠিকঠাক খবর পৌঁছে দেওয়া তাদের আত্মীয় কোথায় আছেন কী অবস্থায় আছেন এই খবরটা দেওয়া একটা বড় কাজ।
সৌগত রায় বলছেন রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই
তিনি বলেন, ’সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে তো, কখন কি বলতে হয় জানেন না। উনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন কিনা জানিনা। ওনাদের পার্টি ছিল সেই সময় কি ছিল জানে না সবাই। সেই জন্য এই ধরনের ঘটনা মানুষের হাতে নেই। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনা। আধুনিক ব্যবস্থা হওয়াতে অনেক দুর্ঘটনা কমেছে। ট্রেনে প্রতি মাসে তখন বড় বড় ঘটনা ঘটতো, এখন কমেছে। আরও কমবে। এখন সবার মানসিক স্থিরতা রাখা উচিত। অনেকেই মানসিকতা হারিয়ে ফেলে উল্টোপাল্টা কমেন্ট করে’।
তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল তারাও যাচ্ছেন
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে গাড়ি গিয়েছে বা আসছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলার বহু মানুষ তার মধ্যে আছেন। কে কী অবস্থায় আছেন জানা সরকারেরও দায়িত্ব সাধারণ মানুষেরও। অধিক লোক ওখানে গিয়ে ভিড় করে লাভ নেই। কারণ লেম্যানরা গিয়ে ওখানে কিছু করতে পারবে না। কারণ ওখানে ডাক্তারদের কাজ, টেকনিশিয়ান দের কাজ, এনডিআরএফ এর কাজ। তারা কাজ করছে। তাদের কাজে যাতে অসুবিধা না হয়’।
অনুব্রত মণ্ডলের সাথে জেলে গিয়ে দেখা করলেন অসিত মাল দোলা সেনেরা
এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘অনুব্রত হচ্ছে টিএমসির একটা বড় সম্পদ কেউ বলছে বীর কেউ বলছে বাঘ। যাই হোক তাদের কাছে খুব গুরুত্ব আছে। যে লোকটা এতদিন ধরে টাকা তুলে দিয়েছে পার্টিকে। পার্টির সেবা করেছে তার ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব এখন। অসময়ে সেটা করেছে। কিন্তু পার্থ বাবুর সঙ্গে কেউ দেখা করে না কেন সেটা আমরা জানতে পারি না’।
দিনহাটায় বিজেপি কর্মী খুন
তিনি বলেন, ‘উদয়ন গুহ-র লোক যদি খুন করে উনি কেন মানবেন যে খুন হয়েছে। একজন পলিটিক্যাল লিডার খুন হচ্ছে বাড়িতে ঢুকে। সে স্মাগলার ডাকাত নয়। তার বিরুদ্ধে কেস আছে। তাকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। সমাজ বিরোধী নয়। সে আমাদের পার্টি কর্মী। তাকে বাড়িতে ঢুকে খুন করে দিচ্ছে। সেটা পুলিস তদন্ত করুক। আগে মন্ত্রী যদি বলে দেন কি হয়েছে। এই ধরনের অভ্যাসটা পাল্টানো দরকার’।
আরও পড়ুন: Coromandel Express: রেলের কোন কোন নম্বর থেকে যাত্রীরা খবরাখবর পাবেন? জেনে নিন
তমলুকের প্রধান পদত্যাগ
তিনি বলেন, ‘কতজনকে পদত্যাগ করাবেন। সমস্ত পঞ্চায়েত, প্রধান, জেলা পরিষদ, সমিতির মেম্বার সবাইতো দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। সবাইকে পদত্যাগ করাবেন কি? সেই জন্য গন্ডগোলটা হচ্ছে। ওরা ভাবছে টিকিট পাব না এত টাকা তুলে পার্টিকে দিলাম আর আমরা দুর্নীতিবাজ বলে টিকিট কেটে দিচ্ছে। সেই জন্য এই যে জয়েন করতে গেছে ক্যান্ডিডেট সেখানে মারামারি হচ্ছে। যারা টাকা তুলে দিয়েছে তারা টিকিট চাইছে। পার্টি দেখছে তারা টিকিট পেলে হেরে যাবে তখনই গন্ডগোল শুরু হয়ে গেছে’।
রাজ্যপাল নিজের অবস্থানে অনর, সংঘাত চরমে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই সরকার প্রথম থেকে সমস্ত অনৈতিক কাজ করছে স্বেচ্ছাচারিতা করছে সেটা বাধা দিলেই গন্ডগোল। সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। একটা নাম পাঠানোর জন্য তিনটে নামের জন্য তিনবার ফোন করে চিঠি দিয়ে বলতে হচ্ছে। কেন এরকম মানসিকতা। সবকিছু আমার কবজার মধ্যে থাকা উচিত। তখনই গন্ডগোল শুরু হয়ে যাচ্ছে। তিনি সংবিধান প্রধান তিনি সংবিধান মেনেই কাজ করছেন’।
ছয় মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করলে রাজ্যটাকে বদলে দেব দাবি মিঠুন চক্রবর্তীর
তিনি বলেন, ‘দেখা যাক যদি হতে পারেন তাহলে হতেই পারে সেটা কবে হবে জানি না’।